বন্দর প্রতিনিধি :
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকায় বিনা বাধায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের হিড়িক পরেছে বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিতাস কর্তৃপক্ষকে ঘুমে ঘরে রেখে বন্দরের এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র বিভিন্ন স্থানে বিনা কাগজে একের পর এক অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এমন কথা জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আর জানিয়েছে, বন্দরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, শ্রমিকলীগের কথিত নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বন্দর উপজেলার পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী, কল্যান্দী এলাকাসহ তার আশে পাশের এলাকাগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কারনে এখন উল্ল্যেখিত এলাকায় চলছে চরম গ্যাস সংকট।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত ২১ জুন মঙ্গলবার রাতে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চান্দু মেম্বার ও একই এলাকার সইক্কা মিয়ার ছেলে জামান ও মোতালিব মেম্বারের ছেলে মুন্না নেতৃত্বে একই এলাকার মোক্তার মিয়ার বাড়িতে ও বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত ফারুক আহাম্মেদের বাসায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করার খবর পাওয়া গেছে।
একদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইপিজেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ও বিনা বাধায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারনে বন্দর থানার শাহীমসজিদ, সালেহনগর, রাজবাড়ী, বাবুপাড়া, কুমারপাড়া, বন্দর রুপালী, বন্দর আমিন, রেলী, লেজারার্স, বন্দর খানবাড়ী, চিতাশাল, স্বলেপ্র চক, একরামপুর, ইস্পাহানীসহ সিটি করর্পোরেশেনের অধিকাংশ পাড়া মহল্লায় একেবারে গ্যাস থাকছে না। গ্যাস সংকট থাকার কারনে উল্ল্যেখিত এলাকার গৃহিনীরা সময় মত রান্নাবান্না করতে পারছে না। যার কারনে অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকতে হচ্ছে উল্ল্যেখিত এলাকার জনসাধারনকে।
এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়াসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগকারিদের চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন্দরে ভূক্তভোগি জনগন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।