দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ক্রোকেরচরে পরকিয়া প্রেমের জের ধরে দর্জি শ্রমিক দিদার হোসেন কে হত্যা করে লাশ ঘুম করার উদ্যেশ্যে ঘরের কাড়ে রেখে দিয়েছিল খুনী চক্র।
পরে নিহত দিদারের পরিবারের সদস্যরা খুনী আফজলের টিনশেড বিল্ডিং কাড় বা সিলিংয়ে দিদারের মৃত দেহ দেখতে পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুবর্না খাতুন গত ২৩ জুলাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং -১৯ তারিখ ২৩/৭/২০২২। ধারা ৩০২/২০১/৩৪ প্যানেল কোড।
এলাকাবাসী ও মামলার বিবরনে জানা যায়,ক্রোকেরচর উত্তর গোপচর এলাকার জালাল বেপারীর পুত্র মোঃ দিদার হোসেনের সাথে ক্রোকেরচর গ্রামের আফজল মিস্ত্রির কন্যা তুলির সাথে নিহত দিদার হোসেনের পরকিয়া প্রেম ছিল। এরই জের ধরে আফজল মিস্ত্রি, তার স্ত্রী রোজিনা,নিহত দিদার হোসেনের পরকিয়া প্রেমিকা তুলির স্বামী উজ্জল ও তুলি মিলে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে দিদার কে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্যোশ্য টিনশেড বিল্ডিং এর কাড়ের উপর লাশ গোপন করে রাখে।
নিহতের বাবা জালাল বেপারী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার নিরীহ ছেলে দিদার দর্জির কাজের পাশাপাশি বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাতো। ১৭ জুলাই আফজলের বাসার কাড়ের উপর লাশ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এলাকার মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করে ফেলে। আমাদের লাশ দেখতে দেয়নি। এ বলে ভয় দেখায় থানা পুলিশ গেলে ২ লাখ টাকা খরচ হবে। তুমি এত টাকা কোথায় পাবে। পরে যখন দিদারের মৃত দেহের ছবি ও ভিডিও পাই তখন ছবিতে দেখি রগ কেটে ও নির্মমভাবে নির্যাতন করে দিদার কে হত্যা করা হয়েছে।
থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি।
দিদার হোসেন গত ১৬ জুলাই বিকাল ৩ টায় বাসা হতে বের হয়ে ফিরে আসেনি। পরের দিন সন্ধ্যায় করিম মিস্ত্রির পুত্র আফজল মিস্ত্রির বসত বাড়ি হতে দিদারের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান,গুম করার জন্য একটি বড় ড্রাম লাশের পাশে এনে রাখা হয়েছিল। ( এর ছবি) এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
নিহত দিদার হোসেনের স্ত্রী সুর্বনা খাতুন বলেন,আমার মামী শাশুড়ী খুনী রোজিনার বাসা হতে দোকানের চাবি ও মোবাইল ফোন নিয়ে আসি। লাশ পাওয়ার দিন থানায় আসতে চাইলে মেম্বার ও এলাকার শালিশগন থানায় আসতে দেয়নি।প্রচার করা হয় জীন ভূতে দিদারকে মারছে। খুনী আফজল,সিদ্দিক মাদবরের পুত্র খুনী উজ্জ্বল, উজ্জ্বল স্ত্রী তুলি,আফজলের স্ত্রী রোজিনা সহ মামলায় কারো নাম দিতে দেয়নি মেম্বার ও এলাকার শালিশীগন। ফলে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে খুনীচক্র।
নিহত দিদার হোসেনের পরিবারের দাবী আমরা গরীব মানুষ বলে পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হবে বললেও কোন কার্যকলাপ দেখা যাচ্ছে না।
অপর দিকে খুনী আফজল ও উজ্জ্বল গংরা হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে।
মামলা তার জলন্ত প্রমান। আফজলের ঘরের কাড় (সিলিং) হতে লাশ উদ্ধার হলেও আসামী বিহীন মামলা রুজ্জু করা হয়। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নিহতের স্ত্রী সুর্বনা খাতুন তার স্বামীর হত্যাকারী আফজল,উজ্জ্বল, তুলি ও রোজিনাকে আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।