দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর সাবেক ইউপি সদস্য দৌলত মেম্বার হত্যা মামলা প্রধান আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
একই সাথে আসামীদের ছবি ওসমান পরিবারের কয়েজনের সদস্যদের সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এতে অনেকেই মনে করছে ওসমান পরিবারের বলয়ে তারা গোগনগর সন্ত্রাসী ও খুনের ত্রাস বিরাজ করছে।
গত ২৭ জুলাই উচ্চ আদালতের (হাইকোর্ট) থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন পায় বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহিদ নূরুদ্দিনের আদালত থেকে মামলার ১নং আসামী রুবেল আহমেদ ও অন্যান্য আসামী ইমরান,রানা, হিমেল,শাওন ও আমির জামিন পায়। এই ৪ সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমাপর্ণ করার কথা উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ জুন রাতে গোগনগর ইউপির সাবেক সদস্য দৌলত হোসেন মেম্বার ওষুধ কিনতে সিএনজিতে চড়ে চরসৈয়দপুর এলাকায় যাবার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে স্বজনরা দৌলত হোসেনকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় দৌলত মেম্বারের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে ২৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল আহমেদ সহ ইমরান,রানা,হিমেল,শাওন, আমির সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৩০,তারিখ ২৭/০৬/২২। এই পর্যন্ত সেলিম নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি আসামীদের গ্রেফতার করেনি। এই সুযোগে ২৭ জুলাই উচ্চ আদালতে প্রধান আসামী সহ বাকী আসামীরা ৪ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে।
দৌলত মেম্বার হত্যা মামলায় পরিবার অভিযোগ করেন,একটি গেট চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফজর আলীর ইন্ধনে রুবেল মেম্বার ও বিচ্ছু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দৌলত হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পরে বাড়িতেও হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে তারা।
রুবেল মেম্বার ও অন্যান্য আসামীদের জামিনে মুক্ত হতেই আবারো গোগনগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো শুরু হবে না তো রক্তারক্তি বা কোপাকোপির এই ভয়েই আতংক বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। যেখানে গত এক মাস যাবৎ দৌলত হত্যা মামলার প্রধান আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের পুলিশ গ্রেফতারে ব্যর্থ কোন এক বলয়ে সেখানে আসামীরা জামিনে এলাকায় ফিরে আসতেই টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময়ই ঘটতে পারে আবারো বোড় কোন ঘটনা।
অন্যদিকে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় রুবেল মেম্বারকে কোথাও বাঘ আবার কোথাও সিংহ উপাধি দিয়ে এলাকায় ফিরে আসায় স্বাগতম জানানো হচ্ছে আবার অয়ন ওসমানের সাথে ছবি ছেড়ে ভুক্তভোগী পরিবারদের বিভিন্ন কটুক্তি ও হুমকি প্রদান করছে রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা।সেই সাথে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের ছবি ছেড়ে হেয়পতিপ্নন করতে। এছাড়াও রুবেল মেম্বারপক্ষের সাথে ভুক্তভোগীদের সমর্থিত পক্ষের সাথে চলছে যথারীতি সোশাল মিডিয়ায় যুদ্ধ।
ওসমান পরিবারের সদস্যদের সাথে ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে রুবেল মেম্বারের লোকেরা কি বুঝাচ্ছে চাচ্ছে তা সাধারণ এলাকাবাসী অবগত না হলেও অনেকেই মনে করছে ওসমান পরিবারের বলয়েই বা ওসমান পরিবারের নাম অপব্যবহার করেই বার বার বড় বড় ঘটনা ঘটিয়ে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে রুবেল মেম্বার ও বিচ্ছু বাহিনীরা।
এই রুবেল মেম্বার ও তার বিচ্ছু বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ থাকার পরও বারবার ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। রুবেল মেম্বার ছাড় পাবার পিছনে কার হাত বা কোন বলয় নিয়েই আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
এদিকে অয়ন ওসমানের সাথে ছবি তুলে অনেকে অপব্যবহার করছে তার জন্য প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৭ জুলাই তার ফেসবুক পেইজে একটি বিবৃতি প্রদান করেন তা দেওয়া হলো” প্রতিনিয়ত চেনা-অচেনা অনেক মানুষ’ই আমার সাথে দেখা করতে আসে ও ছবি তোলার অনুরোধ রাখে। আমি সেটা সম্মানের চোখে দেখি এবং ছবি তুলি, কোন সময় কাউকে না করি না।
কিন্ত এই ছবি অপব্যবহার করে কেউ যদি কোন ব্যাবসায়ীক চিন্তাভাবনা রাখে, কোন অপপ্রচারের চিন্তা ভাবনা রাখে, এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব আমার না, তার জন্য দেশের আইন বা প্রশাসন আছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আমার সাথে ছবি তুলে, সে ছবির অপব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য। ধন্যবাদ।”
অয়ন ওসমান তার বিবৃতি দেবার পর প্রশাসন কি অয়ন ওসমানের ছবি নিয়ে এক আসামী অপপ্রচার চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কিনা জানতে এলাকাবাসী কৌতূহল!