বন্দর প্রতিনিধি:
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এরিস্টোক্রেটিক কনস্ট্রাকশন ফার্মের ম্যানেজারকে পিটিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আকাশ (২৮) নামে এক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ।
ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের আস্তাভাজন চাঁদাবাজ হুমায়ন কবির ওরফে হুমা ও শরিফ হোসেন ওরফে বাঘা শরিফ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা কনস্ট্রাকশন ফার্মের ম্যানেজার ফিরোজের কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার টাকা, একটি মোবাইল সেট ও একটি হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।
গত বুধবার (২০ জুলাই) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত ম্যানেজার ফিরোজ মিয়া বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওই দিন বিকেলে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩৭(৭)২২ ।
গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজ আকাশ বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া নাজিরাপট্রি এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে। পলাতক চাঁদাবাজ হুমায়ন কবির ওরফে হুমা কলাগাছিয়া ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের আস্তাভাজন ও ঘারমোড়া এলাকার মৃত আব্দুল রউফ মিয়ার ছেলে এবং অপর পলাতক শরিফ হোসেন ওরফে বাঘা শরিফ একই এলাকার মৃত আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজ আকাশকে ওই মাশরায় বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিমমিজি মৌচাক এলাকার মৃত ইসকান্দার হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে এরিস্টোক্রেটিক কানস্ট্রাকশন ফার্মে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সুবাদে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া এলাকায় ১২৫৭ মিটার হইতে ২০০০ মিটার পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা র্নিমান কাজ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান পায়।
এরিস্টোক্রেটিক কনস্ট্রাকশন কাজ পাওয়ার সুবাদে গত বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে সাড়ে ১২টায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফিরোজ ও একই প্রতিষ্ঠানের সাব কনট্রাক্টর কামাল হোসেন ও সাইট ম্যানেজার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান কাজ বুঝে নিয়ে কাজের স্থলে আসলে ওই সময় কলাগাছিয়া ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের আস্তাভাজন চাঁদাবাজ হুমায়ন কবির ওরফে হুমা, বাঘা শরিফ ও আকাশসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন চাঁদাবাজ উল্লেখিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফিরোজের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ওই সময় ম্যানেজার চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্ট্রেকশন ম্যানেজারকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ ৬ হাজার টাকা একটি মোবাইল সেট ও একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ চাঁদাবাজ আকাশকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে গেছে উল্লেখিত দুই চাঁদাবাজ।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন গনমাধ্যমকে জানান, চাঁদাবাজি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ৩ চাঁদাবাজের মধ্যে ১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি দুই চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। চাদাবাজরা যে দলেরই হোক অপরাধ করলে কোন ছাড় নাই।