দ্যা্ বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জুনু আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন নিহত গৃহবধূর স্বামী।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে জুনু আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামের দাইয়ানের ছেলে কবির হোসেনের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
কবির হোসেন বিভিন্ন সময়ে জুনু আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য মারধর করতেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূ জুনু আক্তারকে স্বামী কবির হোসেন, শ্বশুর দাইয়ান ও শাশুড়ি শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। জুনু আক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বাড়ির সবাই রাতের আঁধারে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগে জুনু আত্মহত্যা করেছেন বলে আশপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহতের বড় ভাই সোলায়মান মিয়া জানান, শনিবার ভোরে একটি অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে আমার বোনের মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া হয়। যৌতুকের জন্য আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করা হতো। আমি আমার বোনের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরো জানান, নিহতের শরীরে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় নির্যাতন করে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।