দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধে জনগণকে উৎসাহিত করে টিকা গ্রহনে হালনাগাদ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রদানের মাধ্যনে কোভিড সংক্রমণ হ্রাস করা এবং নিজেদের ও সমাজের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনিসেফের পরিচালিত কোভিড-১৯ রেসপন্স নারায়ণগঞ্জ টিমের ফলোআপ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(৬ আগষ্ট) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয় এ ফলোআপ ওরিয়েন্টেশন।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বকে শিশুদের জন্য নিরাপদ করে গড়ে তোলার লক্ষে আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনিসেফ বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।এর মধ্যে জনগণকে উৎসাহিত করে টিকা গ্রহনে হালনাগাদ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রদানের মাধ্যনে কোভিড সংক্রমণ হ্রাস করা এবং নিজেদের ও সমাজের স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করা। আগামীতে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা গ্রহন সম্পর্কে সর্বত্র প্রচারণা। যাতে করে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ো তোলা যায়।
ইউনিসেফের সহায়তায় সাজেদা ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়ন সহযোগী ভলান্টিয়ার অপরচুনিটিজ এর ভলান্টিয়ারদের নিয়ে কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম জেলা পর্যায় কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং পরিকল্পনার জন্য অনুসরণ করার লক্ষ্যে টিমের ৪০জন সদস্যদের নিয়ে ফলোআপ ওরিয়েন্টেশন করে। এসময় ফলোআপ ওরিয়েন্টেশনে টিমের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। যাতে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন এবং এতে মানুষ কিভাবে উপকৃত হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়।
এসময় ফলোআপ ওরিয়েন্টেশনটি কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের জেলা লিডার জয় দত্তের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মানবকল্যান পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান,বিডি ক্লিন জেলা সমন্বয়ক এস এম বিজয়,২০২১ সালে শ্রেষ্ঠ নগর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে পুরষ্কারপ্রাপ্ত কাজী মাহাবুব আলম জয়, আরবান ভলেন্টিয়ার ১৪ নং ওয়ার্ড লিডার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিমন,সাজেদা ফাউন্ডেশনের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মিনহাজুর রহমান ও আইএসপি ঝুমা আক্তার সহ টিমের অন্যান্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য যে,কোভিড-১৯ প্রতিরোধ প্রকল্পটি ইউনিসেফ-এর সহায়তায় ও সিআইডিএ ও এসিটি আর্থিক তহবিলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৬ মাস মেয়াদের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এডাব,সাজেদা ফাউন্ডেশন, বিএনএনআরসি এবং বিসিআরএ এই ৫টি সংগঠন ।
ইতিমধ্যে সর্বমোট ২২ টি এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই ২২টি জেলার মধ্যে সাজেদা ফাউন্ডেশন ৫টি জেলা ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ; রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া, দি হাঙ্গার প্রজেক্টে ১২ টি জেলা: খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা; বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা; রংপুর বিভাগ রংপুর,গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম; ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর এবং রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা এবং এডাব ৫টি জেলা :সিলেট বিভাগের সিলেট ও মৌলভীবাজার; চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি কাজ করছে। প্রায় ৪ কোটির অধিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেবার লক্ষে কাজ করছে এ প্রকল্পটি। প্রতিটি জেলার ৭টি করে উপজেলায় কাজ হবে।
এর মধ্যে লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে কাজ করছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নে এডাব,সাজেদা ফাউন্ডেশন, বিএনএনআরসি এবং বিসিআরএ কমিউনিটি রেডিও-এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছে। জনসচেতনতার জন্য পপুলার থিয়েটার ও লোকগানের মাধ্যমে গণসচেতনতামূলক প্রচারণা, ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পিএসএ ডকুমেন্টারি সম্প্রচার/অন-এয়ার,হাট/বাজার, বাস/রেলওয়ে স্টেশন, মসজিদ এবং অন্যান্য জনবহুল স্থানে মাইকিং, সচেতনতামূলক তথ্য সম্বলিত পোস্টারিং, প্রতিটি উপজেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক প্রচারণা,সচেতনতামূলক তথ্য সম্বলিত ক্লাস রুটিন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ, এবং উঠান বৈঠক করা হয়েছে। বিএনএনআরসি ৫টি এবং বিসিআরএ ৬টি কমিউনিটি রেডিও-এর মাধ্যমে এই প্রকল্পে কাজ করছে।