# গুন্ডা বাহিনী ও প্রশাসনকে দিয়ে জোড় করে ক্ষমতায় এসেছে: সেন্টু

# লোক ভাড়া করে এনে বলবে সমাবেশ জনসমূদ্রে পরিনত হয়েছে: এ্যাড. টিপু

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: জ¦ালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি এবং পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডস্থ পাইকপাড়া লেকের মাঠে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নাসিক ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন সরদারের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলো, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলো মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলো মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিক আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর বিএনপি নেতা এ কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়কসাগর প্রধান, যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি,

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির মল্লিক, বিল্লাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা ছাত্র দলের আহবায়ক কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, শ্রমিক দল নেতা মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যেভাবে দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি হচ্ছে তাতে করে খেটে খাওয়া হতদরিদ্র পরিবার থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষ আজ দিশেহারা। শেখ মুজিবুর রহমান বলে ছিলো চাটার দল এই দেশকে গিলে খাচ্ছে, কাদেরকে চাটার দল বলে ছিলো এই আওয়ামীলীগকে। আজকে সেই চাটার দল ক্ষমতায় এসে এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করছে। বিএনপি ২৫ টাকা কেজি চাইল রেখে গিয়ে ছিলো। সেই সময় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনা কথা দিয়ে ছিলো ১০ টাকা কেজি দরে চাউল খাওয়াবে। তারা মিথ্যাবাদী সেই চাউল এখন ৮০ টাকা কেজি হয়েছে।

এই অবৈধ সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি থেকে শুরু জ¦ালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে। এই ভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। কারন দেশের যেই অবস্থা তাতে করে আগামীতে ২শ টাকা দরে চাউল খেতে হবে। আওয়ামীলীগ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি করে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে। অবৈধ সরকারের মন্ত্রী, এমপি সবাই দেশের বাইরে বেগম পাড়া ঘরে তুলেছে। তারা দেশ ছেড়ে পালাবে। মনে রাখবেন আপনারা দেশ ছেড়ে পালাতে পারবেন না। যে দুর্নীতি করেছেন এটার বিচার এই দেশের মাটিতে হবে। কাউকে পালাতে দেওয়া হবে না।

প্রধানবক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, এই সরকার তার গুন্ডা বাহিনী ও প্রশাসনকে দিয়ে জোড় করে ক্ষমতায় এসেছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা বিএনপি নেতাও কর্মীদের গুম, খুন, মামলা হামলা করেছে। তাই এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।

আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে ঢাকাকে অচল করে দিবো। এই অবৈধ সরকারের কোন অপকৌশল আর কাজে লাগবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান আপনাদের খোজ খবর নিতে পাঠিয়েছেন। কারন দেশে যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি হচ্ছে তাতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে আপনারা হিমশীম খাচ্ছেন সেটা আমাদের নেত্রী বুঝে।  বাংলাদেশ থেকে ৮ হাজার মাইল দূর থেকে তারেক রহমান আপনাদের খোজ খবর নিতে আমাদের পাঠিয়েছেন।

 তিনি আরও বলেন, ৭২ থেকে ৭৪ পযর্ন্ত আওয়ামী লীগ এদেশে লুটপাট করে ছিলো। শেখমুজিবুর রহমান বলেছিলো বিশ^ পেয়েছে হিরার ক্ষনি, আর আমি পেয়েছি চোরের ক্ষনি। এই অবৈধ সরকারের অনেক ছাত্রলীগের নেত্রীও এখন বড় সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। তারা দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। তারা যে কোন সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাবে।

এখন অনেক বড় বড় নেতাও আমাদের হুঙ্কার দেয় বিএনপি নেতাদের নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবে। অথচ তাদের কোন কর্মী পাওয়া যায় না। তিনি শুধু বলে খেলা হবে খেলা হবে অর্থচ শ্লোগান দেয়ার মত ছাত্রলীগ যুবলীগ, শ্রমিক লীগের কেউ নেই। গত কালকে দেখলাম শ্লোগান দেয়ার জন্য ১০/১৫ টি অটো ভাড়া করেছে। তারা এখন ভাড়া করা মাইক ম্যান দিয়ে শ্লোগান দেওয়াচ্ছে। তাদের কর্মসূচিতে টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে আনবে আবার বলবে আমাদের সমাবেশ জনসমূদ্রে পরিনত হয়ে গেছে। এই হলো বর্তমান আওয়ামী লীগের অবস্থা।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির খান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন কাজল,

১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি শওকত আলী লিটন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসুর রহমান, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, শিপলু, মহানগর ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সিব্বির আহম্মেদ, মহানগর যুবদল নেতা মুছা, মানিক বেপারী, আলী হোসেন, মাসুম, মিঠু, হুমায়ুন কবির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবির হোসেন, আসিফ, কাউছার, মোবারক হোসেন, রাব্বী হোসেন সহ ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্য শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ১৭নং ওয়ার্ডের বিভিন সড়ক  প্রদক্ষিন করেন।