দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: প্রায় সাড়ে ৫ বছরের অধিক বয়স পার করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি। এই বয়সে সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও দলীয় কর্মসূচি পালনে জেলার চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবুও যেন নানা সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের।
এদিকে, শারীরিক অসুস্থতার কারনে বেশ কিছু দিন যাবৎ চিকিৎসাধীন সংগঠনটির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের অনুপস্থিতির সুযোগে অনেকেই স্বপ্ন দেখছে নিজের অবস্থান সভাপতি। আর সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা এটিএম কামালকে দলীয় নির্দেশ না মানার অপরাধে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সেখানে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টুকে।
১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটিতে রয়েছে সহ-সভাপতি ১৫ জন যার মধ্যে ৬/৭ জনের দেখা মিলে না দলীয় কোন কর্মসূচিতে। ঠিক একই ভাবে অন্যান্য পদে দায়িত্বরত অধিকাংশ নেতাই রাজনৈতিক মাঠ থেকে রয়েছে পর্দার অন্তরালে।
এছাড়া সংগঠনিটর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা। আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর থেকে ক্ষমতাশীন দলের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে নিজেকে অনেকটাই ধুরে সরিয়ে রেখেছে শওকত হাসেম শকু।
অপরদিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের পুত্র হওয়ার অপরাধে ক্ষমতাশীনদের ইশারায় হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় বেশ কিছু দিন থাকতে হয়েছে রাজনীতির বাইরে। তবুও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে দমাতে পারেনি পর্দার অন্তরালে থাকা একটি পক্ষ। দলীয় কর্মসূচি থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনকে নিয়েই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন এ্যাড. টিপু। তার সাংগঠনিক দক্ষতার কাছে পর্দার অন্তরালে থাকা একটি পক্ষের সব অপকৌশল যেন বিলিন হচ্ছে ধারাবাহিকতার সহিত। সদ্য কেন্দ্রীয় ঘোষিত মাস ব্যাপী কর্মসূচি পালন গুলো ধারাবাহিকতার সহিত পালন করতে গিয়ে মহানগর বিএনপির আওতাধীন নাসিক ১৭টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়ন ঘুরতে হবে তাকে।
ইতিমধ্যেই একাদিক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কর্মসূচি গুলো পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। প্রতিটি কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে তৃনমূল নেতাদের চাঙ্গা ভাব ফিরিয়ে আনতে গিয়ে প্রতিদিন কথা বলতে হচ্ছে কয়েকশ নেতা ও কর্মীদের সাথে। তার এই সাংগঠনিক কর্মকান্ডের ফলাফল আসতে শুরু করেছে বেশ ভাল ভাবে। অনেক ঘরকুনে নেতাই এখন সক্রিয় ভাবে কর্মসূচি গুলোতে অংশ গ্রহন করতে শুরু করেছে ধারাবাহিকতার সহিত। অনেক নেতাকর্মীরা বলছেন এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সাংগঠনিক দক্ষতার ফসল এখন ঘরকুনে নেতারাও রাজপথে।