দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে আমিন আবাসিক এলাকায় শিরিন(৩৩) নামে ১ সন্তানের জননীর আতœহত্যার ঘটনায় তার মা রাবেয়া বেগম মামলা দায়ের করেছেন। রাবেয়া বেগম মামলায় অভিযোগ করেছেন,তার মেয়েকে আতœহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। এ কারনে দন্ডবিধি ৩০৫ধারায় অভিযোগটি করা হয়। ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে সদর থানাধীণ গোগনগর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে জাকারিয়া ওরফে আয়ানকে।
মামলার এজাহারে রাবেয়া বেগম উল্লেখ করেন,সদর থানাধীণ গোগনগর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে জাকারিয়া ওরফে আয়ান ৫/৬মাস যাবৎ আমার মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে সহিৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমার মেয়ের আগের বিবাহিত জীবনে পূর্বেও স্বামীর সংসারে জিসান নামে ৪বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ২বছর পূর্বে ওই স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আসামী জাকারিয়া ওরফে আয়ান আমার মেয়ের সবকিছু জানার পরও বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
প্রায় ১০/১২দিন যাবৎ আমার মেয়েকে বিবাহ করবে বলে নানা টালবাহা করে আসতেছে। আমার মেয়ে আসামী জাকারিয়া ওরফে আয়ানকে বিবাহের জন্য অনুরোধ পূর্বক একাধিকবার মোবাইলে ফোন করে অনুরোধ করে। আয়ান আমার মেয়ে শিরিনকে বিয়ে করবেনা বলে অস্বীকার করে ও নানা অপমান জনক কথা বলে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার মেয়েকে আতœহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় গত ৩০জুলাই রাত ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমার মেয়ে শিরিনের সাথে তার প্রেমিক আয়ানের সাথে নানাভাবে কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে ৩১জুলাই ভোর ৪টায় আমার মেয়ে তার ঘরের সিটকনি দিয়ে ছেলেকে ঘুমে রেখে নিজের ওড়না সিলিং ফ্যানের সাথে পেচিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে আতœহত্যা করে।
বন্দর থানার ওসি দীপক সাহা জানান,রবিবার রাতে মৃত শিরিন আক্তারের মা নাবেয়া বেগম বাদী হয়ে জাকারিয়া ওরফে আয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শিরিনের প্রেমিক আয়ানকে মামলায় আসামি করা হয়। বিষয়টি তদন্তাধীন। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।