দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: চমক দেখালো সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনার ৫ দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচিতে মহানগর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগদান করেন।
রাজধানীসহ সারা দেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলার প্রতিবাদে, রোববার কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টায় চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব,
ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক রুহুল আমিন সিকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, এম এইচ মামুন, সদস্য রাশিদা জামাল, ডা. মুজিবুর রহমান, সাখাওয়াত রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু,
জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক রুমা, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধান,
মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,
মহানগর যুবদল নেতা শহীদুল্লাহ মুকুল, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সাগর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি। এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকার, কথা বলার বাকস্বাধীনতা উদ্ধার করার জন্য রাজপথে থেকে শাওন বুকের তাঁজা রক্ত দিয়েছে। আমরা শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শাওনের ক্ষতস্থানে আমি হাত দিয়েছি। তার বুকের তাঁজা রক্ত এখনও আমাকে পীড়াদেয়। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে থাকার অপরাধে শাওনকে জীবন দিতে হয়েছে। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে থাকার অপরাধে যদি আমারও জীবন দিতে হয় তবুও পিছপা হবো না। আমি ২০১৪ সালে বহুবার মরনের হাত থেকে ফিরে এসেছি। তাই কোন বুলেট বা রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। মৃত্যুকে এখন ভয় লাগে না।
সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, মানুষের অধিকার ছিনিয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। এই রাতের আধারের ভোট চোর সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আবারো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। তাই এখনই সময় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করা।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মনির খান, সদস্য এ্যাড. রফিক আহম্মেদ,বরকত উল্লাহ বুলু, শাহীন আহম্মেদ, কামরুল হাসান ছাউদ চুন্নু ফারুক হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিয়াজী, সাইফুল ইসলাম বাবু, আলী হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মহানগর যুবদল নেতা মঞ্জুরুল আলম মুছা, মানিক বেপারী, তাওলাদ হোসেন, শহীদুল ইসলাম, আরমান, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, দপর্ন প্রধানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।