দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ডিক্রিরচরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে কোস্টগার্ড সিমেন্টের খুঁটি বসাতে গেলে এলাকাবাসী ও জমির মালিকদের বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ডিক্রিরচর গুদারাঘাট সংলগ্ন ব্রীজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও জমির মালিকরা জানান, কোন ধরনের নোটিশ বা ঘোষণা ছাড়াই আজ বিকালে কোস্টগার্ডের লোকজন ডিক্রিরচর গুদারাঘাট সংলগ্ন ব্রীজ ঘেষে সিমেন্টের খুঁটি বসাতে শুরু করে। এলাকাবাসী খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের কর্মকর্তাদের নিকট জানতে চান কিসের ভিত্তিতে আপনারা জমি দখলের জন্য খুঁটি বসাচ্ছেন।
এ সময় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তারা বলেন, আমরা জমি কিনে নিয়েছি। কোস্টগার্ড কর্মকর্তা জমির বৃদ্ধ মালিকদের বাঁধা দেওয়ায় মামলার হুমকি দেন। আপনারা ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেন।
এ সময় জমির মালিকরা বলেন, আমাদের জমি যদি ‘একওয়ার’ করে থাকে আমাদের লিস্ট তৈরী করে (এলএ) শাখা হতে জানাবে। তারা এসিল্যান্ড অফিস, ইউএনও অফিস ও ডিসি অফিস হতে কিছু জানায়নি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষ্টগার্ডের কর্মকর্তা রুহান উপস্থিত জমির মালিকদের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এতে করে জমির মালিকগণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করলে তিনি কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
পরে পাগলা কোস্টগার্ড হতে স্টেশন কমান্ডার শামসের নেতৃত্বে আরো বিপুল সংখ্যক কোস্টগার্ড সদস্যরা এসে হাজির হন। তারা পূর্ব ও পশ্চিমের রাস্তার যানবাহন বন্ধ করে দেন। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ সময় কোস্টগার্ডের নারায়ণগঞ্জ পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শামস সাদেকীন নির্ণয় বলেন, সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ায় মামলা করা হবে।
জমির মালিকগণ বলেন, এখানে আমাদের আগে বাজার ও বসত বাড়ি ছিল। এটি আমাদের পৈত্রিক ও ক্রয়সুত্রে মালিক। আমাদের পূর্ব ঘোষনা ও নোটিশ ছাড়াই কোস্টগার্ড কারো পক্ষে জমি দখল করতে আসে। তারা বলেন, সরকারের প্রয়োজন হলে জমি নিবে তবে আমাদের জানিয়ে ও আইন মোতাবেক নিতে হবে।
এ ব্যাপারে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন বলেন, কোস্টগার্ড জমি দখল করতে আসবে আমি চেয়ারম্যান কিছু জানিনা। এমনকি এমপি ও ডিসি মহোদয় কিছু জানেনা।
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের নারায়ণগঞ্জ পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শামস সাদেকীন নির্ণয় ফোকাস নিউজ এজেন্সীকে বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমান স্যারের সাথে আমাদের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকেও জানানো হয়েছে। যদি কোন জমির মালিকদের দাবী বা আপত্তি থাকে তাহলে তারা যেন ডিসি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে।