দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য দৌলত মেম্বার হত্যা মামলার আসামীদের উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিনে মুক্তি দিয়ে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ থাকলেও আসামীরা আত্মসমর্পণ না করে পলাতক । আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের ভূমিকা রয়েছে নিরব।
সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য দৌলত হোসেনের হত্যা মামলায় গত ২৭ জুলাই উচ্চ আদালতের (হাইকোর্ট) বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহিদ নূরুদ্দিনের আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের (২৭ আগষ্ট পর্যন্ত) জামিন পায় মামলার ১নং আসামী রুবেল আহমেদ ও অন্যান্য আসামী ইমরান, রানা, হিমেল, শাওন ও আমির। এর আগে গত ৭ জুলাই মামলার ৭নং আসামী তাওলাদ মেম্বার উচ্চ আদালতের (হাইকোর্ট) বিচারক মোঃ কামরুল হোসাইন মোল্লা ও বিচারক খিজির হায়াতের আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের (৩ আগষ্ট পর্যন্ত) জামিন পায়। এই ৪ সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমপর্ণ করার কথা উল্লেখ করা হলেও আসামীরা আদালতে আত্মসমাপর্ণ না করে পলাতক আছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বের হলেও আসামীদের গ্রেফতারে রয়েছে পুলিশের অনীহা এতে বিপাকে ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা যায়, দৌলত মেম্বার হত্যা মামলায় সেলিম নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামী রুবেল আহমেদ সহ অন্যান্য আসামীরা অধরা রয়েছে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমাপর্ণ না করে। এদের গ্রেফতারে পুলিশের নিরব ভূমিকায় আতঙ্কে আছে ভুক্তভোগী পরিবার। ইতিমধ্যে একাধিকবার মামলা তুলে ফেলার জন্য দেওয়া হয়েছে হুমকি। মামলা না তুললে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জানে মেরে ফেলা হবে বলা হয়ে। আর গত ৩১ জুলাই প্রকাশ্যে দিবালোকে পথরোধ করে মামলার বাদী মমতাজ বেগমকে মামলা তুলে ফেলার হুমকি প্রদান করে মামলার প্রধান আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা। এতে মমতাজ বেগম বাদী হয়ে রুবেল মেম্বার সহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫কে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং- ১৩৩৪, তারিখ ৩১/০৭/২০২২।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ জুন গোগনগর ইউপির সাবেক সদস্য দৌলত হোসেন মেম্বার ওষুধ কিনতে সিএনজিতে চড়ে চরসৈয়দপুর এলাকায় যাবার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে স্বজনরা দৌলত হোসেনকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় দৌলত মেম্বারের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে ২৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল আহমেদ (৩৫), ইমরান (৩৪), রানা (৩০), হিমু (২৫), শাওন (৩০), ফাহাদ (২৬), তাওলাদ মেম্বার (৩৫), আমির হোসেন (৩০) সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ৩০(৬)২০২২, তারিখ ২৭/০৬/২২। এই মামলায় সেলিম নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি আসামীদের গ্রেফতার করেনি।