দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের শাওন নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করেছে দলটির নেতৃবৃন্দ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে এই মামলার আবেদন করেন।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে ডিবির এস আই মাহফুজুর রহমান কনক এছাড়াও অন্যান্য আসামিরা হলো, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু,
পুলিশের কনস্টেবল শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশের কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০জন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলার আর্জি গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত তাক্ষনিক কোন আদেশ দেননি।
মামলার বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। নারায়ণগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি করে শাওনকে হত্যা করেছে। সে আমাদের যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী।
গণমাধ্যমে ছবি বেরিয়েছে ডিবির এস আই মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করেছে। সেই গুলিতেই শাওন নিহত হয়েছে। আমাদের উপর যে হামলা হলো গুলি হলো সে ঘটনায় আমরা আদালতে মামলার আবেদন করে বিচার চেয়েছি বিজ্ঞ আদালতের কাছে।
বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন তালুকদার জানান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশের হামলায় পুলিশের গুলিতে শাওন সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় আমরা আদালতকে জানিয়ে গুলির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে উপ পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনকসহ ৪২ জনের নামে মামলা করেছি। আদালতকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।