দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবৎ অর্থ বানিজ্যর বিষয় স্থানীয় মিডিয়াতে চলছে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয় মিডিয়ার মাধ্যমে যুবদলের নেতা ও কর্মীরা জোরালো প্রতিবাদ করছেন প্রতিনিয়তই।
এ বিষয়ে মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক আরমান বলেন, অতীতের চেয়ে বর্তমান মহানগর যুবদল অনেকটাই শক্তিশালী। সেই সাথে মহানগর যুবদলের আওতাধীন প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহনের মাধম্যে, দেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি গুলো মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও মনিরুল ইসলাম সজলসহ বাকি ৩ যুগ্ম-আহবায়কের নেতৃত্বে আমরা সফল ভাবে পালন করে আসছি।
কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দরা আংশিক কমিটি ৭১ বা ৮১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিতে রুপ দেয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে সেই কমিটি জমা দেয়া হয়েছে। এখানে যারা স্থান পাচ্ছে তারা সবাই যার যার যোগ্যতা অনুশারে এসেছে। সেখানে অর্থ বানিজ্যের কোন সুযোগ নেই।
আমার ধারনা দলের মধ্যে থাকা কিছু নেতা ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে। যুবদলকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে মির্জাফরের কাতারে চলে গেছে। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের পক্ষ থেকে মহানগর যুবদলের একজন কর্মী হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সেই সাথে মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দদের আহবান করবো আপনারা ঐসকল মির্জাফরদের চিহ্নিত করে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে তালিকা প্রকাশ করুন। কারন মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক শক্তিশালী অবস্থান দেখে তারা ইর্ষান্বিত হয়ে। ক্ষমতাশীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপপ্রচারের কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্র দলের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় মিডিয়াতে মহানগর যুবদলকে নিয়ে গণমাধ্যমকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দিয়ে কিছু কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন প্রবাসীর কাছে থানার পদ দেয়ার কথা বলে মমতাজ উদ্দিন মন্তু ১০ লক্ষ টাকা বানিজ্য করেছে। আমার জানা মতে সেটা আমাকে বুঝানো হয়েছে। কারন বর্তমান আমি ছাড়া মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে আর কোন বিদেশে থাকার লোক নেই।
তাই সবাইকে আমার বিষয়টি পরিষ্কার করে দিতে চাই। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক হয়ে দেশ ও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। টাকা দিয়ে পদ পদবি কিনে রাজনীতি করার মত জিয়ার সৈনিক আমি বা আমার পরিবারের কেউ না। আমার পরিবারে শুধু আমি একা বিএনপির রাজনীতি করি না। সেটা যারা জানেন তারা ভাল বলতে পারবে।
সেই সাথে আমি ঐসকল কুচক্রী মহল ও সরকার দলের চাটুকারদের বলে দিতে চাই আমি প্রবাসী না। আমার দেশের বাইরে একাধিক ব্যবসা আছে, যেটার জন্য বছরে কয়েকবার আমাকে সেখানে যেতে হয়। তাই বলে আমাকে প্রবাসী বানিয়ে দিবেন আবার অর্থের বিনিময়ে পদে আসছি সেটা বলবেন। এটা সহজে মানা যায় না। আমি এখনও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন কর্মী, তাই আমার সাথে শত শত কর্মী ভাইয়েরা আছে।
অনেকেই বড় বড় পদ নিয়ে রাজনীতি করেন। অথচ ১০/ ১২ জন কর্মী নিয়ে কর্মসূচিতে যোগদান করেন। তারাই মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতাশীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই দেশে এখন সঙ্কটময় অবস্থা বিরাজ করছে। তাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের বৃথা চেষ্টা করে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না ঐক্যের পথে হাটুন।
এখনই সময় দেশের গনতন্ত্র উদ্ধারের। মহানগর যুবদল নিয়ে যেসকল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে সকলকে বলবো কর্মী বান্দব নেতা হন, আপনার পদ খোজতে হবে না। পদই আপনাকে খোজে নিবে।
এদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে মহানগর যুবদল নিয়ে যেসকল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে যুবদল নেতা দিপু, রেজাউল, মোঃ আরাফাত, শাকিল সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।