দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সদর উপজেলার ফতুল্লা থেকে মানব পাচারকারী চক্রের নারী সদস্য সহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কবল থেকে পাচার করার উদ্দেশ্যে আটকে রাখা সাথী আক্তার (২৩) নামে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার ভুইগড়স্থ গিরিধারা এলাকার কামাল হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার সহ আটকে রাখা নারীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-দিনাজপুর জেলার সদর থানার দক্ষিণ পাতেল শাহ গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে ও ফতুল্লা মডেল থানার ভুইগড় গিরিধারার কামাল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ ওমর ফারুক (২২), বোন শারমীন (২৫) ও মৃত মিজানের ছেলে মামুন হোসেন (২২)।
এ ঘটনায় সাথী আক্তারের স্বামী মোঃ আনিছ মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার ডেমরা থানা এলাকার ডগাইর বাজার এলাকায় আকবর হোসেনের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করেন। একই বাসায় একা ভাড়া থাকতো গ্রেফতারকৃত শারমীন। সে সুবাদে শারমীন তাদের পূর্ব পরিচত। কিন্ত তার চলাফেরা সন্দেহ জনক হওয়ায় বাড়ির মালিক চার মাস পূবে শারমীনকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। রোববার বেলা ১১ টার দিকে বাদীর স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শারমীনের সাথে দেখা হয়। পরে শারমীন ও তার ভাইসহ অভিযুক্ত অপর আসামী কৌশলে বাদীর স্ত্রীকে গিরিধারাস্থ তাদের ভাড়া ফ্ল্যাটে কামাল হোসেনের ষষ্ঠ তলায় নিয়ে য়ায়। বাদীর স্ত্রী এ সময় ডাক চিৎকার করলে তার হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গোঁজে দেয়।
এ সময় অভিযুক্তরা বাদীর স্ত্রীকে টাকার বিনিময়ে অন্যত্র পাচার করার জন্য নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করে। অপরদিকে বাদীর স্ত্রীর ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তিনজনকে আটক সহ তাকে উদ্ধার করে এবং ফোন নাম্বার নিয়ে বাদীকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। বাদী সংবাদ পেয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ সাহা জানান, রোববার সন্ধ্যায় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয় একই সাথে গ্রেফতার করা হয় নারীসহ তিনজনকে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।