দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিপাকে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সদ্য ঘোষিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন থাকা ১৫ জন নেতাই বিদ্রোহ করেছে। সেই সাথে কমিটি থেকে পদ ত্যাগের ঘোষনা দিয়েছে। আর এই সকল নেতাদের মধ্যে অধিকাংশই কর্মীবান্ধব হওয়ায়।
মহানগর বিএনপির আওতাধীন ৮০টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগই তাদের নিয়ন্ত্রনে। ফলে দলীয় কর্মসূচি পালনে অনেকটাই কর্মীহীন হয়ে পড়েছে তারা। এছাড়াও বিদ্রোহী নেতাদের ছাড়াও কমিটিতে থাকা আরও প্রায় ৮/১০ জন নেতা মহানগর কমিটির কার্যক্রমের ধারে কাছেও ভীরছেন না।
এর ফলশ্রুতিতে কমিটি ঘোষনার পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ জেলার সহযোগীতা নিয়ে কিছুটা চমক দেখাতে সক্ষম হলেও। এখন সেই আশায় ছাই পড়েছে। কারন পরবর্তী কর্মসূচি গুলো পালনে মহানগরের পাশে জেলার থাকার সম্ভবনা একেবারেই শুন্যের কোঠায়। এখন বর্তমান যারা কমিটিতে আছেন তাদের অধিকাংশই কর্মী বিহীন নেতা।
এদিকে, নব্য কমিটির সুকৌশল রাজনীতির ফলে মহানগর যুবদলের মাইনাস ফরমূলার রাজনীতির বিষয় যুবদলের নেতারা জানার ফলে। তারাও মহানগর বিএনপির পাশে থাকতে নারাজ। শুধু তাই নয় মাইনাস ফরমুলার কারনে মহানগর ছাত্রদলেরও মহানগর বিএনপির পিছে হাটবেন না বলে জানিয়েছেন একটি পক্ষ।
আর মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেনকে কমিটিতে রাখা না রাখার বিষয় বিএনপির নাটকীয় অধ্যায়কে শ্রমিক দল দেখছেন না ভাল দৃষ্টিতে। ফলে মহানগর বিএনপির সহযোগী সংগঠনের তালিকা থেকে শ্রমিক দলও সরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষনা করার পর থেকে জাকির খান সমর্থিত নেতারাও এখন আর তাদের পাশে থাকছেন না। ফলে কর্মীশুন্য মহানগর বিএনপির গুটি কয়েকজন কমিটির নেতাদের নিয়ে পরবর্তী কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালনে কতটুকু সফলতা দেখাতে পারবেন। সেটা নিয়ে সন্দেহের দাগ থেকে যায়।
এদিকে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেয়া কয়েক জন নেতা বলেন, প্রতি নিয়তই মহানগর বিএনপির আহবায়ক তাদের সাথে যোগাযোগ করে মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে এই পরিস্থিতির জন্য সদস্য সচিবকে দায়ী করছেন। ঠিক একই কায়দায় সদস্য সচিবও তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং সব দোষ আহবায়কের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন বলে তারা জানান।
তবে ধারনা করা হচ্ছে কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেও তারা দলীয় কর্মসূচি গুলো আলাদা ব্যানারে পালন করবে। সেই সুবাদে তাদের কর্মী বাহিনী বেশি হওয়ায় নব্য কমিটির চেয়ে কর্মসূচি পালনে বেশ প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হবে সেটা বুঝা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে কারা সফলতা পান, নব্য কমিটি না বিদ্রোহীরা।