দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি যেটা ঘোষনা করার পর থেকেই একের পর এক সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৫ জন নেতার পদত্যাগ স্থানীয় মিডিয়ার নজর কেড়েছে। গুনঞ্জন শুনা যাচ্ছে পদত্যাগের তালিকা আরও দীর্ঘ হওয়ার। এখন দেখার বিষয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে শেষ রক্ষা হবে তো কমিটির।
এদিকে, কমিটি ঘোষনার করার পর মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বে থাকা নেতারা বলছেন, এটা মহানগর বিএনপির কমিটি নয় হয়েছে “মিশনপাড়া কমিটি”। কারন দীর্ঘ ৫ বছর নয় মাস এ্যাড. আবুল কালামের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির ৮০টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ভাবে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন।
সেখানে তাদের অর্থ সময় এবং পরিশ্রম সব মিলিয়ে সাংগঠনিক অবস্থান ছিলো শক্তিশালী। অথচ সদ্য ঘোষিত মহানগর বিএনপির সেই কমিটিতে তাদের সদস্য পদেও জায়গা হয়নি। কারন তাদের গায়ে কালাম গন্ধ, মানে তারা কালাম সমর্থিত নেতা ও কর্মী। আর যাদেরকে কমিটিতে স্থান দিয়েছে অধিকাংশ নেতাই সক্রিয় ভাবে রাজপথে ছিলো না। আবার অনেকেই উড়ে এসে কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আর যাদেরকে বিগত কমিটি থেকে রাখা হয়েছে, সেটা ডেকে এনে অপমান করার মত অবস্থা। আবার অনেকেই আছে ক্ষমতাশীনদের দালাল হয়ে বিএনপিতে কাজ করছে।
তারা আরও বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক হিসেবে যতটুকু বুঝতে পারেছি। এটা তারেক জিয়ার নির্দেশিত কমিটি না, এটা টাকার বান্ডিলের ফসল। এই কমিটি কোন সাংগঠনিক নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হয়নি। যদি তা হতো তাহলে সিনিয়ারদের সম্মানের জায়গা থাকতো।
এদিকে, সাবেক মহানগর বিএনপির কমিটির বিষয় উল্লেখ করে তারা বলেন, ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে অনেক সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক সহ অন্যান্য পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসলেও এই কমিটিতে তাদের নামের গন্ধও নেই। এটা নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে কমিটি নিয়ে ন্যাক্কার জনক ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এবারের কমিটিতে যাদের স্থান দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশ নেতাই কর্মী বিহীন। সরকার পতন আন্দোলনে কর্মীদের ছাড়া তারা কিভাবে রাজপথে থাকবে না ফটোসেশনের রাজনীতি করে পিছনে ফিরবে তা সামনেই দেখা যাবে।
তবে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক রাজপথে ছিলাম আছি থাকবো। তবে আওয়ামীলীগের দালালদের আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের ঘর পরিষ্কার করার মত বিএনপি থেকে পরিষ্কার করবো।