দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ( পুরাতন ) সড়কটি যেন যানজটের অন্যতম সড়ককে পরিনত হয়েছে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সড়কে যাতায়াতের এ সড়কটির যানজট সমস্যা সড়ক ও জনপথের চক্ষু অন্তরালেই রয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীদের ব্যবহারের এ ব্যস্ততম সড়কটি। ব্যস্ত এ সড়কটিতে যানজটের অন্যতম কারন হচ্ছে খানা-খন্দক ও উভয়পাশে ফুটপাতগুলো।
পঞ্চবটী বনবিভাগ সংলগ্ন মুল সড়কের উভয় পাশে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় গর্তের কারনে পঞ্চবটী থেকে পুলিশ লাইন অপরদিকে পুলিশ লাইন থেকে পঞ্চবটী পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটের পড়ে থাকতে হচ্ছে রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী ও মালবাহী পরিবহনগুলো। প্রায় ৩ মাসের অধিক সময় ধরে এ স্থানে গর্তের সৃষ্টি হলেও তা যেন দেখেও না দেখার ভান করে আসছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
আর এ গর্তের কারনে প্রতিদিনই ছোট পরিবহন সিএনজি,মিশুক ও ইজিবাইকগুলোই উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনা শিকার হচ্ছে। আবার মালবাহী গাড়িগুলোর চাকা গর্তে পড়ে গিয়ে তা উঠতে না পেরে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে যাত্রীদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে।
এ সড়কে যাতায়াতকারী এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় বসবাস করেন। প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে তাকে দোকানে হাজির হতে হয়। কিন্তু পঞ্চবটী বনবিভাগ সংলগ্ন মুল সড়কের উভয় পাশে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় গর্তের কারনে প্রতিদিন সকাল থেকেই যানজট শুরু হয়। গাড়ি থেকে নেমে হেটে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই এ রাস্তার পাশে। কারন গর্তের কারনে উভয় পাশের চালকরা তাদের গাড়িগুলো রোডের মাঝ নিয়ে চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,গত সপ্তাহে ইজিবাইকের চাকা গর্তে পড়ে গাড়িটি উল্টিয়ে যাওয়ার ফলে আমিও সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হই।
মিশুক চালক সোলেমান ও ইজিবাইক চালক রহমানসহ অনেক চালক জানান,এ রুটে গাড়ি চালাচ্ছি জীবনটাকে হাতের মুঠোয় রেখে। কারন আমার গাড়ি চালানো দক্ষতার উপর নির্ভর করে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের জীবন।
তারা আরও বলেন,সবচেয়ে বেশী ভয় হয় যখন আমাদের গাড়িতে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা থাকে। কারন তখন যদি একটি গাড়ি উল্টিয়ে যায় তাহলে সেই শিক্ষার্থীগুলোর বেশী সমস্যায় পড়বে।
শাহ সিমেন্টের এক চালক জানান,আমি নিয়মিতভাবে এ রুট দিয়ে মালামাল নিয়ে যাতায়াত করছি। বহুদিন যাবত এখানে যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তা সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। আমরা যে গাড়িগুলো চালাই তা অধিক লোড সম্পন্ন। আল্লাহ না করুক যদি একবার উল্টে যায় তাহলে পাশে থাকা ছোট-খাটো গাড়িগুলো খুজে পাওয়া যাবে কিনা বলা মুশকিল।
যদি এখানে ভুল সড়ক বিভাগের কিন্তু কোন দূর্ঘটনা ঘটলে তার দ্বায়ভার পড়বে আমাদের উপর। আমি চাই অতিদ্রুত এ ভাঙ্গা ও গর্তটুকু সংস্কার করা হউক।
এ ব্যাপারে এ সড়কে যাতায়াতকারী ভুক্তভোগীদের দাবী অতি শীঘ্রই সড়কটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হোক।