দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল মৌজার ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বাদী জাহাঙ্গীর গং এবং বিবাদী আবু সুফিয়ান গংদের সাথে দন্দ চলে আসছিল।
এ ব্যপারে বহুবার স্থানীয় থানায় বসেও মিমাংসা করার চেস্টা চলছিল কন্তু কোথাও তার সমাধান না হওয়াতে অবশেষে উক্ত বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তথ্য নিয়ে জানা যায় নাসিক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দীনার স্বামী আবু সায়েম প্রধান ও তার ভাশুর মোঃ আবু সুফিয়ান প্রধান এবং তার ননদ মোশারত মোহাসিনা আক্তার এবং তার শাশুড়ি জাহানারা বেগম ঝাল দলিল সৃজন করে উক্ত জমির নামজারী প্রস্তুত করেন।
এ ব্যপারটি জানতে পেরে বাদী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আমলী আদালত (ক) অঞ্চলে এক পিটিশন নং ৩২/২২ তারিখ ২৬/০১/২০২২ মোকাদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মোকাদ্দমাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলাটি সুবিচারের স্বার্থে পিবিআইকে তদন্ত প্রদান করেন।
গত ৩০/৬/২০২২ ইং তারিখে পিবি আই সৃজিত নকল দলিল যাচাই করে দেখতে পান যে দলিলটি সৃজিত এবং এ কারনে তাদের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় তাদের চারজনকে আপরাধী সাব্যস্ত করে চুরান্ত প্রতিবেদ প্রদান করেন। এবং এর প্রেক্ষিতে সর্বশেষ গত ৩০/১০/২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-১ অঞ্চলে সি আর ১৩৬৬/২২ নং মোকাদ্দমায় অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
বাদী শফিকুল ইসলামের পক্ষে নিযুক্তীয় আম মোক্তার জনাব জাহাঙ্গীর মুন্সির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানাযায়, গোদনাইল মৌজার সি এস ১৯৮ এসএ ৪২৩ আর এস ১২৭৯ নং খতিয়ানের সিএস ও এস এ দাগ নং ৫৪ আর এস দাগ নং ৩৩৭/৩৩৮ দাগের ২৫ শতাংশ সম্পত্তি বিগত ২১/১/১৯৭১ ইং সালে নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত সাব কাবলা ৬৮৮ মূলে সিরাজুল ইসলাম খরিদ করিয়া মালিক ও ভোগদখলে থাকা অবস্থায় একপুত্র মোঃ শফিকুল ইসলামকে ওয়ারিশ রাখিয়া মৃত্যুবরন করেন।
উক্ত শফিকুল ইসলাম পৌত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হইয়া ভোগদখল থাকিয়া নিজ নামে নামজারি করার জন্য গত ৩০/১২/২১ ইং তারিখে স্থানীয় ভুমি অফিসে গেলে ভুমি কর্মকর্তা জানায় যে মোঃ আবু সুফিয়ান প্রধান গং গত ১৭/১১/২০২১ ইং তারিখে উক্ত সম্পত্তির নামজারি জমাভাগ নং ১৬৮৬/২০২১-২০২২ খতিয়ান ১৫৩০৩ যাহার রেজিং নং ১৫৩০২মূলে নিজ নামে নামজারি হাসিল করিয়াছেন। বাদী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভুমি অফিস হইতে মোঃ আবু সুফিয়ান প্রধান গং এর নামীয় নামজারির খসড়াকপি ও রিপোর্ট ফ্রমের ফটোকপি উত্তোলন করে দেখেন যে দলিল নং ৯৯০২ মূলে আসামীগন নামজারী হাসিল করিয়াছেন।
দলিলের ফটকপি সংগ্রহ করিয়া সঠিকতা যাচায়ের জন্য দলিলের সহী মুহরী নকল তলিয়া দেখেন যে দলিলের সাথে বাদীর উত্তোলনকৃত সার্টিফাই কপির কোন মিল নেই। বাদী আরও জানিতে পারে যে আসামী আবু সুফিয়ান প্রধান গং যোগসাজোসভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃজন করিয়া নামজারী ও জমাভাগ হাসিল করিয়াছেন।
আসামীগনের তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে কোন মালিকানা না থাকা স্বত্ত্বেও প্রতারনা ও ডালজাতীর আশ্রয় গ্রহন করিয়া উক্ত কবলা বিক্রয় দলিলে গ্রহীতার নাম মফিজদ্দিন সর্দার পিতা মৃত মিয়াজান মাতবর এর নাম কর্তন করিয়া মহাসিন আলি পিতা মৃত চানমিয়া প্রধান এর নাম টেম্পারিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত করেন উক্ত দলিলের তারিখ ২২/১২/১৯৪৮ এর স্থনে ২২/১২/১৯৬৮ ইং পরিবর্তন করিয়া আসামীগন জালিয়াতি ও প্রতারনার মাধ্যমে দলিল সৃজন করিয়া নামজারি হাসিল করিয়া লয়।
আসামীগণ বাদীর ভোগ দখলীয় তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি আতœসাত করার লক্ষে পরিকল্পিত ভাবে বাদীর বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া জাল জালিয়াতির মূলক দলিল সৃজন করিয়া উক্ত দলিল নিজ দখলে রাখিয়া খাটি হিসেবে ব্যবহার করায় প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন পূর্বক নামজারি জমাভাগ করিয়াছেন যাহা পেনাল কোডের ৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯/৩৪ ধারার অপরাধ করিয়াছে বলে পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।