দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: শহর ও শহরতলীতে কোন ভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা পিচ্চি মাসুম গংদের জুয়ার আসর। এদিক থেকে উঠিয়ে দেয়া হলে পুনরায় অন্যত্র শুরু করে জুয়া খেলার আসর। নগরীর জিমখানা এলাকায় পিচ্চি মাসুম ওরফে জুয়ারী মাসুম, মাদক ব্যবসায়ী রাব্বি, পিচ্চি মাসুমের দুই সহযোগী ছাইয়া ও মনির গংরা পুরোদমে চালাচ্ছে জুয়ার স্পট। যেখানে দিবা-রাত্র চলছে জুয়া খেলা ও মাদক সেবন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদক ব্যবসায়ী রাব্বি ও জুয়ারী পিচ্চি মাসুমের নেতৃত্বে সেখানে গড়ে তুলেছে জুয়ার স্পটটি। শহর ও শহরতলী থেকে বিভিন্ন জুয়ারীরা সেখানে এসে জুয়া খেলছে এবং পাশাপাশি মাদকও সেবন করছে। সেখানে খেলতে এসে কেউ ফিরে নি:ম্ব হয়ে আবার কেউ টাকার বান্ডিল টাকার নিয়ে বাড়িতে ফিরছে। এমনি করেই বছরের পর বছর জুয়া খেলায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। তারপর ও থেমে নেই জুয়ার আসর। একের পর এক অভিযান চালালেও থামছে না এ খেলা। নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সরকারী জায়গা, পুলিশের সোর্সের অফিসে কিংবা ফ্লাটেও চলছে মাসুমের এই জুয়ার আসর।
মাসুম গংদের জুয়ার আসরগুলোতে ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, কাটাকাটি, আরো নানা নামের জুয়া চলে। লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন। এতে পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক নানা অপরাধও বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়ার আয়োজক চক্র। আর এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
জুয়া খেলা আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোককে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে এসব কর্মকান্ড। এই আসরগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর টাকার খেলা হচ্ছে। এদের আইনী ঝামেলা থেকে সুরক্ষা দেয় খোদ পুলিশ প্রশাসনেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। শহরের দেওভোগ, জিমখানা, কালিরবাজার, ভুইঘর এলাকায় প্রতি রাতে চলে জুয়া। সেখানে মূল দায়িত্বে রয়েছেন মাসুম, রাব্বি, ছাইয়া ও মনির।
এ বিষয়ে জুয়া পরিচালনাকারী পিচ্চি মাসুমের সহযোগী রাব্বির মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জুয়ার আসর চালাই বলে স্বীকার করে বলেন, আমার নাম্বারটা আপনেরে কে দিলো? এ নাম্বারতো সবার কাছে নাই। আমি যে কি জিনিস জিমখানা এলাকায় আইসা জিগাইয়েন। সহযোগী মনির ও ছাইয়াকে টোকাই আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ওদের সাথে আমারে তুলনা দিয়েন না।