দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের ভুইগড়ে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ১৬ জন দালালকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এক বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আড়াইহাজারের চৌধুরী পাড়ার মৃত রাম চন্দ্র চক্রবর্তীর ছেলে সুমন চক্রবর্তী,সোনারগাঁয়ের মৃত সুমন্ত রায়ের ছেলে দীপক রায়, ফেনীর পশুরামের হাসান মজুমদারের ছেলে সাদ্দাম হোসেন মামুন, কুমিল্লার দাউদকান্দির আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কামাল হোসেন, মুন্সিগঞ্জের টুঙ্গীবাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে ইয়াসিম আরাফাত, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের কবির হোসেনের ছেলে ইয়াসিন রানা, শরীয়তপুরের পালং থানার খালেক সরদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ,
সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির হাবিবুর রহমানের ছেলে হাসিবুর রহমান শান্ত, ফতুল্লার কুতুবপুরের শহিদুল ইসলাম খোকনের ছেলে ইমরান হোসেন শান্ত (২০), কুতুবপুরের জালালউদ্দিনের ছেলে রবিউস সানি (২২), সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির আব্দুল গফুরের ছেলে গোলাম রাব্বি, ফতুল্লায় পশ্চিম শাহী মহল্লার সেকান্দার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৯), বন্দরের নবীগঞ্জের জামানের ছেলে সিফাত হাসান, সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাকের লিটন মিয়ার ছেলে রাব্বি সালাম লিমন, বন্দরের আলী নগরের আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন। এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ১১৪টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৪টি অবৈধ সিল, ৬৪টি স্ট্যাম্প জালিয়াতির কপি ও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু জানান, এর আগেও চক্রের ২০-২১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়েরও করা হয়েছিল। আমরা ক্রস চেকিং করে দেখবো। এরা ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী কিনা এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা আছে কিনা।
এগুলো আমরা যাচাই বাছাই করে দেখবো। তিনি আরো জানান, পাসপোর্ট গুলো যদি জাল হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাসপোর্ট যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আদালতের অনুমতিক্রমে তারা এই পাসপোর্টগুলো বুঝে নিতে পারবে।