দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নয়ামাটিতে পান্না বেগমের জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসী পিয়ার আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন গংরা। এ ব্যাপারে পান্না বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে জমির মালিক পান্না বেগম থানায় অভিযোগ করার পর থেকে বিল্লালগংদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, পিয়ার আলীর ছেলে বিল্লালের বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার অভিযোগ। এছাড়াও বিল্লালকে শতাধিক পিস ইয়াবাসহ র্যাব-১১ গ্রেফতার করেছিলো ২০১৭ সালে। ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক মামলা নং-৪৯ (১৩/১০/১৭ইং)। ফতুল্লা মডেল থানায় এক যুবলীগ অপহরনের দায়ে অপহরণ মামলাও রয়েছে বিল্লালের বিরুদ্ধে যার ১৪ ( ৫/৮/১৫ইং)। এছাড়াও আরো একাধিক মামলাও রয়েছে ওর নামে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, পিয়ার আলীর ছেলে বিল্লাল এতটাই বেপরোয়া হয়ে দাড়িয়েছে যে, এলাকাতে কেউ নতুন জমি ক্রয় করতে আসলে ত্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই টাকা গুনতে হয় বিল্লালের জন্য। বাড়ি নির্মানের সময় চাঁদা, ইট-বালু-সিমেন্টসহ যাবতীয় সরঞ্জামগুলো তার কাছ থেকেই ক্রয় করতে হয়।
নতুবা নতুন বাড়ি করা সম্ভব নয়। এছাড়া ইউরোটেক্স ও মাহমুদা গার্মেন্টস এ কাজ করতে শ্রমিকরাও শান্তিতে নেই এ বিল্লালের যন্ত্রনার কারনে। প্রতিদিন কর্মশেষে বাড়ি ফেরার নারী-পুরুষ শ্রমিকদেরকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল এবং মাস শেষে বেতনের টাকা নিয়েও অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারেনা বিল্লাল ও তার সহযোগিদের কারণে।
বিল্লাল ও তার বাহিনীর সদস্যরা এতটাই বেপরোয়া হয়েছে যে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না। বিভিন্ন জেলা থেকে কাজ করতে শ্রমজীবি মানুষগুলো ওর বাহিনীর কাছে অনেকটাই জিম্মিদশার মাঝে দিনানিপাত করছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
কোন প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সাথে কিংবা স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধির সাথে সেই খেটে খাওয়া মানুষগুলো সখ্যতা না থাকায় অনেকটা মুখ বুঝে বিল্লাল বাহিনীর সকল অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে পেটের তাগিদে দু’পয়সা রুটি-রোজগারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সেই নিরীহ মানুষগুলো। আর সেই অবলা মানুষগুলোকে জিম্মি করে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে দূর্ধর্ষ বিল্লাল ও তার বাহিনী।