দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়নগঞ্জ -৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে বলেন চট্টগ্রামে সমাবেশ হচ্ছে সেখানে কত গুলো জেলা, কিন্তু সমাবেশে মাত্র ১৫ থেকে ১৭ হাজার মানুষ। এর চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম আমাদের শীতলক্ষ্যার মুন্নাই করতে পারে। অথচ কত হাক ডাক, এমন একটা অবস্থা মনে হলো আমাদের আজকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।’
জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৩ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকালে নগরীর রাইফেল ক্লাবে নারায়নগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাঁরা যা বলেন, জনগণকে দিয়ে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলবেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আমাদের আজকের শ্রমিক লীগের অনুষ্ঠান দেখে যান, আপনাদের সাথে আগুন সন্ত্রাসী থাকতে পারে, জঙ্গিবাদ থাকতে পারে। আর যাই হোক এদেশের সাধারণ মানুষ আপনাদের পাশে নাই। সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে আছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ হাজার ১০ হাজার লোকের মিছিল দেখলে আমাদের ছাত্রলীগের লোকজনই বাসায় মাথায় কাপর দিয়ে বসে থাকবে লজ্জায়। অথচ, এটাই তাদের বিশাল সমাবেশ। এটার নাম মহা সমাবেশ। ঢাকায় মহাসমাবেশ যারা ১০ই ডিসেম্বর ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আপনারা ঢাকায় সমাবেশ না করে নারায়ণগঞ্জে করেন। এক দিকে আপনারা কইরেন, অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ আরেকটা সমাবেশ ডাকবে। দেখবো কারটা বেশি মানুষ হয়। নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ আপনাদের থেকে ৩ থেকে ৪ গুন বেশি লোক এর সমসবেশ করতে পারবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে ও মহানগর শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সঞ্চালনায়
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল ও জাতীয় শ্রমিক লীগের আইন ও দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মোঃ কামাল হোসেন।
শামীম ওসমান আরও বলেন, জনগণ বির্বজিত এই শক্তি গুলো বাংলাদেশে হায়নার রূপ নিয়েছে। হায়নার রূপ নিয়ে হঠাৎ করে কেন যেন- রাজনীতির মাঠে লাঠি, রড, এটা সেটা নিয়ে আসছে, এমন সব ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে,যেসব ভাষা রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। যদি সত্যিকারের রাজনীতিবীদ হতো তাহলে বলতো এখন আমাদের লাঠি নিয়ে বের হওয়ার কথা না।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর অর্থনীতি যেখানে ধসে পড়েছে। ব্রিনেটের মতো একটা দেশে বিদ্যুৎ খাতে ৮০ শতাংশ ব্যায় বেড়েছে। সেখানে আমরা বাংলাদেশের মানুষ এখনও আল্লাহ রহমতে ভালো আছি। তারপরেও শেখ হাসিনা কোন কথা লুকাচ্ছেন না, তিনি বারবার বললেন, এক খন্ড জমিও ফেলে রাখবেন না উনি এটাও বলছেন, বিদ্যুৎ অপচয় কইরেন না। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন, জাতিসংঘ বলেছে, সারা পৃথিবীর ৪০ শতাংশ মানুষ না খেয়ে থাকবে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, নির্বাচন আরও দেড় বছর পরে হবে। দেড় বছর পরে আমাদের মারেন-কাটেন সমস্যা নাই। এখন আসুন সবাই মিলে দেশটাকে বাঁচাই। ধরেন আজকে আমাদের সরকার নাই- চলে গেলো। কিন্তু যে দল ক্ষমতায় আসবে, তাদেরতো এই দেশটা চালাতে হবে, নাকি সমস্ত কিছু আকাশ থেকে চলে আসবে, আমি বলি না-আওয়ামী লীগের সকলেই ভালো মানুষ। আমাদের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে। কিন্তু আমরা যারা দেশটাকে ভালোবাসি, সারা পৃথিবীতে যে সংঙ্কট। এখন আমাদের লাঠি নিয়ে বের হওয়ার কথা না। এখন আমাদের্ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতের বিষয় ভাবার কথা। কিন্তু আমরা তা করছি না। যে জাতি নিজেকে সাহায্য করে না- সে জাতিকে আল্লাহ সাহায্য করে না। তাই আমি অনুরোধ করবো- দেশের জন্য দোয়া করবেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরমান, জেলা ও মহানগর শ্রমিক লীগের নেতা হুমায়ুন কবির, সুকুমার রায়, মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ রাফিয়ান, মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোজাম্মেল হক,আলমগীর হোসেন,মোখলেছ,আব্দল মান্নান, দেলোয়ার হোসেন, শেখ আসলাম,রহমত উল্লাহ সহ প্রমূখ।