দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলন সংগ্রামে দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর বিএনপির হাই কমান্ড। তাইতো দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগর কমিটিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন দলটির নীতি নিধারকরা।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পর পরই স্থানীয় বিএনপির শক্তিশালী পক্ষ কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছে।
এতে করে অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কারন বিদ্রোহী গ্রুরুপ ছাড়া স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি প্রায় অচল। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটির বিষয় নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।
কারন বিদ্রোহী গ্রুরুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম হাজী জালাল উদ্দিন এর ভাতিজা আতাউর রহমান মুকুল, তার নাতি ও সাবেক সাংসদ এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালামের ছেলে আবুল কাউছার আশা, হাজী নুরু উদ্দিন,
সাবেক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন সহ প্রায় ১৫ নেতা। আর তাদের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের সমর্থক ঘোষ্টি সহ অধিকাংশ নেতাকর্মীরা।
তাই আগামী দিনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে দলের অবস্থান জানান দিতে হলে প্রয়োজন সাংগঠনিক শক্তিশালী অবস্থান। যা বর্তমান কমিটির পক্ষে কোন মতেই সম্ভব্য না। সব কিছু বিচার বিশ্লেষন করে যে কোন সময়ই দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে স্থগিত হতে পারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
এ বিষয় মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমরা মহাসচিবের সাথে কথা বলেছি। তিনি কমিটির ঘোষনার বিষয় কিছু জানতেন না। আমাদের কথা গুলো গুরুত্বের সহকারে শুনেছেন। পাশাপাশি কমিটির বিষয় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান যাকে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ বছর আগেও সে বিএনপির কোন পদে ছিলো না। তিনি সিটি নির্বাচনের পর বিএনপির পদ পেয়েছেন। বর্তমান কমিটিতে ত্যাগী ও মামলা হামলার শিকার নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যারা বর্তমান কমিটিতে জায়গা পেয়েছে তারা কবে কয়টা মামলা খেয়ে জেল খেটেছে।
তাদের চেয়ে বেশি মামলা হামলার ধু¤্রজালে পরে জেল জুলুমের শিকার হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীরা। তাদের কেন কমিটিতে রাখা হলো না। আর যাদেরকে রাখা হয়েছে তাদের ন্যায মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে আমাদের বহিষ্কার ঠেকাতেই নাকি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যাচ্ছি। প্রশ্নই আসে না বিএনপিতে আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই। আমরা ফ্রিডম পার্টি বা বিএনএফ এর রাজনীতি থেকে বিএনপিতে আসি নাই। আবার বিদিশা ফাউন্ডেশনেরও কোন পদ পদবি নিয়ে ফায়দা নিচ্ছি না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আমার চাচা মরহুম জালাল উদ্দিন হাজী। তিনি তৎকালিন সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহচর ছিলেন। শুধু তাই নয় দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে এমপিও হয়েছেন।
তার ছেলে আমার বড় ভাই সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম তিনি তিনবার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপি হয়েছেন। এই আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পুর্ব মুর্হুত পর্যন্ত মহানগর বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তাদের উত্তসূরি হিসেবে বিএনপির রাজনীতি করি। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনায় বসেছি যারা ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ তাদের ন্যায অধিকার আদায়ের জন্য। কারন তারা আমাদের নেতৃত্বেই বিএনপির রাজনীতি করছে। তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া আমর বা আমার পরিবারের নৈতিক দায়িত্ব।