দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: গত ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরে র্যালীতে পুলিশের গুলিতে নিহত শাওনের স্মরণে শহীদ শাওন চত্ত্বর ঘোষণা করার জোর দাবি জানিয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে বিবৃতি দিয়েছিলো মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম।ঠিক ৪০ দিন পর তার সেই দাবি পুরণের ঘোষনা দিলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন,বিএনপি সরকার গঠন করলে বিগত দিনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদের স্মরণে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা হবে।
এদিকে, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কাজী নাহিসুল ইসলাম সাদ্দাম গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি জোড় দাবি করে উল্লেখ করেছিলেন, গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে শহীদদের সম্মানে নারায়ণগঞ্জে একটি স্তম্ভ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি ।
গত ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরে রেলি বের করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি, শান্তিপূর্ণ এই রেলীতে অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ,ডিবি, প্রশাসন,আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
এই অতর্কিত হামলায় শত শত নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। হামলায় গুলিতে নিহত হন আমাদের সহযোদ্ধা গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে অত্যন্ত প্রহরী শহীদ শাওন। নিভে যায় একটি তাজা প্রাণ, যে কিনা এদেশের জন্য হতে পারতো এটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শহীদ শাওন ভাই তার জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেলেন নারায়ণগঞ্জ শহরের মাটিতে।
আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার এর দাবি জানাই এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারআইনে শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই। সেই সাথে যে স্থানে (২নং রেলগেট এলাকা) সংঘর্ষে শহীদ শাওন ভাইয়ের মৃত্যু হয় সেই স্থানকে শহীদ শাওন চত্ত্বর ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় গণতন্ত্রকামী জনগণ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। সাধারণ মানুষ তাদের কথা বলার অধিকার চায়,তাদের বেঁচে থাকার অধিকার চায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চায়, আর তাইতো গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে এবং দেশ রক্ষার আন্দোলনে রাজপথে ফয়সালা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে পথ চলছে লাখ লাখ বাঙালি।
কিন্তু গণতন্ত্র হত্যাকারীরা প্রশাসনকে ব্যবহার করে,গুন্ডা বাহিনীকে ব্যবহার করে,সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুনের শিকার হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলতে যেয়ে। পুলিশ আজ জনগণের সেবা দিবে দূরের কথা জনগণের উপর পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে শহীদ নুর আলম ভাই, শহীদ আব্দুর রহিম ভাই সহ গণতন্ত্র রক্ষা আন্দোলনে এবং দেশরক্ষায় আন্দোলনে সাহসী নেতাকর্মীদের।
এসকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই ।অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাই। সেই সাথে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সে সকল শহীদদের সম্মানে নারায়ণগঞ্জে একটি স্তম্ভ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি । (ইনশাল্লাহ )অচিরেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে , হবে গণতন্ত্রের চর্চা।