দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে একের পর এক সমালোচনার জন্মদিচ্ছে। কোন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি ঘেষা নেতাদের কমিটিতে স্থান দিবেন না বলে ইতিমধ্যেই বহুবার পরিষ্কার ঘোষনা দিয়েছেন সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব।
তবে কথায় ও কর্মে মিলছে ঘোষনার ঠিক উল্টো এযেন সর্ষের মধ্যে ভূত।
শুধু তাই নয় চতুর এই দুই নেতার কারিশমাটিক রাজনৈতিক কৌশলের কাছে ধরাশাই হয়েছেন স্থানীয় বিএনপির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা।
চতুর এই দুই নেতার কারিশমাটিক রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু যা বলেন তা করেন না। আর যা করেন তা বলেন না।
তাছাড়া যে কমিটির সদস্য সচিবের রাজনীতি শুরু ফ্রিডম পার্টি দিয়ে আর কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদে থেকেও জাতীয়পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদের স্ত্রীর সাথে আন্তরিক সম্পর্ক আর যাই হউক বিএনপি কখনই এই ধরনের নেতাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করতে পারে না। তাদের কাছে কখনই বিএনপি ও তৃণমূল কখনই নিরাপদ নয়।
তারা নিজেদের সুবিধার জন্য দলকে বিক্রি করে দিতে কোন দিধাবোধ করে না। এ্যাড. টিপুর দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই আমরা জানতে পেরেছি এ্যাড. সাখাওয়াত দল ও দলের নেতাদের সাথে বৈঈমানী করে ক্ষমাশীনদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির এইদুই নেতার চতুরতা কারিশমাটিক কৌশলের কাছে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা কখনই ভাল কিছু আশা করতে পারে না।
তারা আরও বলেন, কমিটি পেয়েই তারা বক্তব্যে বলেছেন নারায়ণগঞ্জে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির দিন শেষ। এখন আমাদের প্রশ্ন যাদেরকে নিয়ে আপনারা এতো বড় বড় বুলি ছাড়ছেন তাদের হাত ধরেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনৈতিক সূচনা। তারা যদি শুরু থেকে দলটিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী না করতো। তাহলে মতলব থেকে এসে নারায়ণগঞ্জের ভাড়াটিয়া হয়ে এতো বড় পদ নিতে পারতেন না।
শুধু তাই নয় তারা আরও বলেছেন, কোন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টি ঘেষা নেতাদের কমিটিতে স্থান দিবেন না। অথচ তাদের ৪১ সদস্য আহবায়ক কমিটির মধ্যে জাতীয়পার্টি ঘেষা নেতার স্থান হয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সেলিম ও জাতীয়পার্টির মননীত প্রার্থী ওসমান ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে বিশাল মিছিল নিয়ে প্রকাশ্যে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে কাউন্সিলর শাহেন শাহ। তাও আবার আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। সেই নেতাকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা মিলে এই গুণধর দুই নেতার। শুধু তাই নয় তাকে বন্দর থানা কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদে রাখার জন্য চলছে নানা কৌশল বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয় কাউন্সিলর শাহেন শাহর সহচর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী বলেন, তৃণমূল নেতারা যদি নিজেকে বাচাঁনোর জন্য ক্ষমতাশীনদের সাথে থাকে তাহলে সেটা হয় দোষ। সবাই ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে চলছে কেউ রাতের আধারে, কেউ নিজের স্বাার্থের জন্য, কেউ অর্থের জন্য আবার কেউ নিজেকে বাচানোর জন্য। এখন শাহেন শাহ একবার যাওয়াতে দোষ হয়ে গেছে।
আর বর্তমান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. টিপু সাবেক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী বিদিশার সাথে এক সাথে বসে খাচ্ছে সেটা কোন দোষ না। আর আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন সিটি নির্বাচনে দলের সাথে বৈঈমানী করে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে মোটা টাকা নিয়েছে সেটা কোন অপরাধ হয় না। আগে তাদের ঠিক হতে বলেন পরে অন্যকে ঠিক করেন।
তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য কমিটির মধ্যে শাহীন আহম্মেদও আছে যে প্রকাশ্যে জাতীয় পার্টির ব্যানারে মিছিল করেছে সেটাও কোন দোষ না। যত দোষ পদহীন নেতাদের। তারা যে ধরণের ঘোষণা দিয়েছে, সেটার আগে নিজেদের স্বভাব আগে ঠিক করা উচিৎ ছিলো। যাই হউক কমিটি পেয়ে উত্তেজনার মাথায় বলে ফেলেছে। তবে এখনও সময় আছে নিজেদের সংশোধন করার।