দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
রোববার (২০ নভেম্বর) বাদ আছর নগরীর তালা ফ্যাক্টরী মোড় এলাকায় আলোচনা সভা ও মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. আলহাজ¦ জাকির হোসেন,
প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, সাবেক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, এই অবৈধ সরকারের অধিনে আর কোন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তাই তত্ত্বভধায়ক সরকার ছাড়া দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না এই দেশের জনগণ সেটা মেনে নিবে না। এই ভাবে ভোটচোর সরকারকে দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তাই আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম বিএনপির এই দু:সময়েও গত দুই দিন আগে বন্দরে প্রায় ২শতাধিক অন্য দলের নেতাকর্মী আমাদের নেতা আলহাজ¦ আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে আমাদের দলে যোগদান করেছে।
সেই কারনেই ফ্যাসিবাদ সরকারের বিষফোড়ার মত গায়ে লেগেছে। তাই সেই দিন যোগদান কর্মসূচি চলা কালে বন্দরে আওয়ামীলীগ অফিসে নাকি আগুন দেয়া হয়েছে। অথচ বন্দরের কেউই দেখলো না কিন্তু একটি গায়েবি মামলা হয়ে গেলো। সেখানে আমাদের নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামী করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়ে গেছে।
আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ১৪ বছর মামলা, হামলা, জেল জুলুম করে বিএনপি নেতাদের রাজপথ থেকে সড়াতে পারেনি আওয়ামী সরকার। কারন বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পায়না এই মিথ্যা মামলা ও হামলায়।
এখন বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বাধা প্রদান করে ১ দিনের কর্মসূচি ৩দিনে পরিনত করেছে। সেখানে জন¯্রােতে পরিনত হয়েছে। কোন বাধাই সেই জন¯্রােতকে থামাতে পারেনি। তাই আসুন আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনে রাজপথে থাকি।
প্রধানবক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বের মহাসমাবেশে লাক্ষ জনতা নিয়ে আমরা অংশ গ্রহন করবো। আমরা যাতে সমাবেশে যোগদান না করি সেই জন্য আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেয়া হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানী করা হচ্ছে। আইন আছে যারা মিথ্যা মামলা দেয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। আমি প্রশাসনকে আহবান করবো আপনারা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেন।
আওয়ামীলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে যুবদল নেতা শাওনকে হত্যা করিয়েছেন। আমরা বুকের রক্ত দিতে শিখে গেছি, মিথ্যা মামলা, হামলা, জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করার অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার রাজপথ বিএনপির দখলে থাকবে। কোন অপশক্তি বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথ থেকে ফেরাতে পারবে না।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, সাবেক মহানগর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম,নগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু,
মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. আলী হোসাইন, শহীদ হাসান, বন্দর থানা বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম রিপন, বাবুল হোসেন, বাদল, আব্দুল আলী, কলাগাছিয়া ইউনিয় বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেন, স্বপন মাহমুদ, সাফী, মহানগর যুবদল নেতা মুছা, মহিউদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।