দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও সেই কমিটি শিক্ষার্থীদের নিকট হতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা করার জন্য একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফজর আলীকে আহবায়ক করা হয়। তিনি আহবায়ক হওয়ার পর পরই মসজিদ নির্মাণের নাম করে স্কুলের পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে। অথচ স্কুলের ভিতরে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া স্কুল হতে মাত্র দেড়শো গজ দূরে একটি মসজিদ রয়েছে।
সম্প্রতি উক্ত স্কুলটি সরকারীকরণ করা হয়েছে। এর কার্যক্রম আগামী শিক্ষা বছর হতে শুরু হবে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া এডহক কমিটির আহবায়ক ফজর আলী ও সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের নিকট হতে কোচিং ফি, ফরম ফিলাপ ও বিদায়ী অনুষ্ঠানের নামে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অথচ ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা কবে নাগাদ হবে সরকার নির্দেশনা দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও অভিভাবকগণ জানান, বর্তমান প্রধান শিক্ষক একজন দূর্নীতিবাজ লোক। সরকার তার কার্যকাল তদন্ত করলে কয়েক কোটি টাকা লোপাট করার তথ্য বেরিয়ে আসবে। যে যখন বিদ্যালয়ের সভাপতি বা আহবায়ক হয় তাকে ম্যানেজ করে নেন প্রধান শিক্ষক। বর্তমান এডহক কমিটির মেয়াদ গত আগষ্ট মাসে শেষ হয়ে গেলেও সেই কমিটি এখনো পর্যন্ত কাজ চালিয়ে আসছে। যা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ বিধিমালা বিরোধী।
অপরদিকে আরেকটি সুত্র জানিয়েছে, ফজর আলী এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মসজিদ নির্মাণ করার কথা বলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। স্কুলের পুকুরও বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে। অথচ এই পুকুরে কলেজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল আগের কমিটির।
দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ ও এডহক কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করার নির্দেশ দেয়ায় অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে এডহক কমিটির আহবায়ক ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজর আলী ফোকাস নিউজ এজেন্সীকে বলেন, এডহক কমিটির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। আমি এই স্কুলে ঢুকে আমার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে আনুমানিক ২০ লাখ টাকা খরচ করেছি। এলাকাবাসী মসজিদের জন্য কিছু টাকা উত্তোলন করে দিয়েছে আর বাকি টাকা আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করছি, শুধুমাত্র এলাকাবাসীর অনুরোধে। আর ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে কি চলতে হবে আমার? যেখানে ছাত্রছাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকরা আমার কাছে আসলে আমি ফ্রি করে দেই। কিছু মানুষ আছে স্কুলের টাকা লোপাট করে খেতে না পেরে এসকল মিথ্যা অভিযোগ করে বেড়ায়।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে রাগান্বিত হয়ে বলেন, আপনি স্কুলে আসেন। আপনার নাম্বার সেভ করে রাখলাম। আপনি স্কুলে এসে কথা বলেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।