দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, অবৈধ রাতের ভোটচোর সরকার দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি। মানুষের বাকস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার হরণ করে নিয়েছে। তাদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা, হামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
আজকেরই এই গণমিছিলের মাধ্যমে পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবী আমাদের নেতৃবৃন্দরা দিয়েছেন। আর সেই দাবীর সাথে একমত পোষণ করে বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া দিনমজুর। কারন এটা সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে ১০ দফা দাবীতে গণ মিছিলে যোগদান পুর্বক তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির ১০ দফা দাবীতে গণ মিছিলে যোগদান পুর্বক আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন।
এসময়ে আতাউর রহমান মুকুল আরও বলেন, এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের গণতন্ত্রকে তালুবন্দি করতেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আমাদের মহাসচিব মির্জাফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সহ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
শুধু তাই নয় এই মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জাফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সহ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আজকে এই গণ মিছিল থেকে ভোটচোর সরকারকে হুশিয়ার করে দিতে চাই। অনতিবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সেই সাথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেশে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। নতুবা এই অবৈধ সরকারের কোন নেতাই দেশের জনগনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য আমরা রাজপথে নামলেই সরকারের পেটুয়া বাহিনী গুলি করে পাখির মত মানুষ হত্যা করে। মনে রাখবেন প্রতিটি রক্তের ফোটার হিসাব দেশের জনগনের কাঠগড়ায় দিতে হবে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় বিএনপির ১০ দফা দাবীতে গণ মিছিল সফল করার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বেলা ১০টা থেকে ঢাকাস্থ ফকিরাপুল পারাবত হোটেলের সামনে জড়ো হতে শুরু করে।
পরে বাদ জুম্মা আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ফকিরাপুল ও তার আশপাশের এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীরা রাজপথ প্রকম্পিত করে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আয়সা সাত্তার, সাবেক যুববিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, সাবেক শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন,
মহানগর বিএনপি নেতা কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, স্বপন মাহমুদ, আলী হোসেন, মো: আনিছ কাজী, সামসুউদ্দিন মোল্লা, আফসার উদ্দিন, ফারুক, শামীম, হাবিব মেম্বার, হাসান মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান মাসুম, শহীদ, মধু,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস রাজীব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন,
মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুল হক, মহানগর শ্রমিক দল নেতা সেলিম, মামুন, আল-মামুন, নাছির সহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।