দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.খোকন সাহা বলেছেন,বিএনপি গনতন্ত্রের কথা বলে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। ওরা খুনির দল। ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত আমাদের ১৭ হাজার লোককে হত্যা করে আজ ওরা গনতন্ত্রের কথা বলে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের পোলিং এজেন্ট হওয়ার কারনে ওরা আমাদের এক নারী কর্মীকে গনধর্ষণ করে হত্যা করেছে।
অথচ আজ ওরা গনতন্ত্রের কথা বলে। যারা বাসে ঘুমন্ত পরিবহন শ্রমিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের মুখে গনতন্ত্র মুক্তির কথা বানায় না। এতিমের হক লুন্ঠনকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী দিতে বিএনপি আজ এদেশ চালাতে চান এটা করতে দেয়া হবে না। এদেশের জনগণ আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। তারা সমাবেশের নাটক করে সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।
আগামী ১০ডিসেম্বর ঢাকা পল্টন ময়দানে সমাবেশের নামে আগুন লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ওদের এই প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে হুশিয়ার করে দিতে চাই সাবধান হয়ে যান। কোন বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
শনিবার ৩রা ডিসেম্বর বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী তীরবর্তী বন্দর খেয়াঘাটে বিএনপি-জামাত ও স্বাধীণতা বিরোধী চক্র কর্তৃক সারাদেশে সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,নারায়ণগঞ্জের গনমানুষের নেতা একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বিএনপিকে আর কোন অরাজকতা করতে দেয়া হবেনা। তবে নারায়গঞ্জে একটি গোষ্ঠি কিছু সুশিল ও কুশিলের দল একেএম শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কথা বলে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে চায়। আমরা বেঁচে থাকতে শান্ত নারায়ণগঞ্জকে কখনোই অশান্ত করতে পারবেনা। বন্দরবাসী আপনারা প্রস্তুত থাকেন আগামী ১০ডিসেম্বর বিএনপি যদি কোন নাশকতা করার চেষ্টা করে তাহলে আপনারা সজাগ থাকবেন। ওদের সাথে সাথে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন।
সাধারন মানুষে শান্তি বিনষ্টকারীদের আর ছাড় নাই। পরিশেষে আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। নেত্রী বেচে থাকলে বাংলাদেশ একদিন উন্নত রাষ্টে পরিনত হবে। পাশাপাশি এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান বেঁচে থাকলে অবশ্যই নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ণ সম্ভব।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম,প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান,সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মাহমুদা মালা,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল,নাসিক ২৬নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু,সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির হোসেন,যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুম,লুৎফর রহমান,ডালিম হায়দার,সবুজ আহমেদ শেখ মমিন,মোঃ সুজন,রাজু আহমেদ,আকিব হাসান রাজু প্রমূখ।