দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে নিজেদের অবস্থান রাজপথে শক্তিশালী করে যাচ্ছেন স্থানীয় বিএনপির হেভীওয়েট নেতারা। মূলধারারা রাজনীতিকে পাশ কাটিয়ে হাজারো নেতাদের নিয়ে রাজপথে দলীয় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপির একাংশের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, হেভীওয়েট ১৫ নেতা কমিটির নেতৃত্ব বয়কট করার পর বাকি ২৬ নেতাদের মধ্যেও কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরফলে এখন কর্মী সংকটের কারনে অস্তিত্বহীনতা ভুগছে মহানগর বিএনপি বলে দাবি করেন স্থানীয় বিএনপির অধিকাংশ নেতা।
অপরদিকে, এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে যেখানে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা।
এদিকে, চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপি আংশিক ৪১ সদস্য আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে মহানগর বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করার পর, কমিটির দীর্ঘ তালিকা স্বল্প হতে শুরু করেছে। হেভীওয়েট ১৫ নেতা কমিটির নেতৃত্ব বয়কট করার পর বাকি ২৬ নেতাদের মধ্যেও কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্ব এখন কর্মী সংকটের কারনে অস্তিত্বহীনতা ভুগছে।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুর পিছনে মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ না থাকলে তাদের রাজনীতি এতো দিনে অস্তিত্বহীন হয়ে পরতো। মহানগর যুবদল সাখাওয়াত টিপুর মান রক্ষা করছে।
তারা আরও বলেন, যারা তাদের মাঠের রাজনীতি কর্মী বাহিনী দিয়ে ধরে রেখেছে তাদের নিয়েই কৌশলের রাজনীতি করছে মহানগর বিএনপির দুই নেতা। আর সেটা বাস্তবায়ন হওয়াটা এখর শুধু সময়ের ব্যাপার। মহানগর যুবদলের দুই নেতাকে মাইনাস করে সাখাওয়াত টিপুর পছন্দের নেতাদের দিয়ে কমিটি অনেকটাই প্রস্তুত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারনে ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি কারাগারে থাকায় সেটা বাস্তবায়নে সময় নিচ্ছে।
তারা আরও বলেন, কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে মহানগর বিএনপির (বিদ্রোহী) একাংশের হেভীওয়েট নেতাদের দমাতেই মামলা হামলা সহ নানা কুটকৌশল অবলম্বন করছেন। ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁতের রাজনীতি করা গুটি কয়েক নেতা। তারা পুলিশের সোর্স হয়ে নেতাকর্মীদের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ঠিকানা পর্যন্ত পুলিশকে দিয়ে সহযোগীতা করছেন হয়রানী করার জন্য।
এর প্রধান কারন যে কোন মূল্যেই টিকাতে হবে মহানগর বিএনপির কমিটি। নতুবা কর্মী ও জনসমর্থনের কাছে পরাজয় বরন করতে হবে কমিটির দুই শীর্ষ নেতাদের।
এদিকে, এ্যাড. সাখাওয়াত ও টিপুকে বয়কট করার পর বিদ্রোহী নেতাদের সাথে রাজপথে সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করে আসছেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুব – বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, মহানগর বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, সাফী আহম্মেদ, আল মামুন, আবুল হোসেন সরদার, মোহাম্মদ হোসেন কাজল এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সহ আরো অনেকেই।