দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লার দক্ষিন কোতালের বাগ এলাকায় সম্পত্তির জন্য মা’কে মারধর ও অন্যান্য ছেলে-মেয়েদেরকে গালাগাল এবং প্রান নাশের হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে মো.জিয়ার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মৃত.ফকির চানের স্ত্রী অভিযুক্ত জিয়ার বৃদ্ধা মাতা চন্দ্রাবান ফতুল্লা মডেল থানায় সন্তানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃদ্ধা চন্দ্রাবানের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর প্রায় ১৪ বছর পরে ছেলে জিয়া তার স্ত্রীর পরামর্শে আমার স্বামীর রেখে যাওয়া বাড়িটুকু তাদের নামে লিখে দিতে আমাকে এবং আমার অন্যান্য ছেলেমেয়েকে বিভিন্ন সময়ে হুমকী প্রদান করে আসছে।
এরই সুত্র ধরে গত ১২ ডিসেম্বর রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় আমার ছেলে জিয়া এবং তার সহযোগি একই এলাকার মহাব্বত আলীর ছেলে মো.মাজহারুল ইসলাম সুমন, আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহমুদা মনি, মো. সেলিমের ছেলে ফাহিম, জিয়ার স্ত্রী তনয়া সুলতানা, সোহাগ, সেলিম ও তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা, আজগর, আলাউদ্দিনের ছেলে বিজয়সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন মিলে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে গালাগাল করে।
আমি যদি নিজ ইচ্ছায় জিয়াকে আমার সম্পত্তি লিখে না দেই তাহলে আমাকেসহ আমার ছেলেমেয়েকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেন। এছাড়াও বিবাদী জিয়া আমার বাড়ির যাবতীয় ভাড়াসহ সমস্ত কিছু আত্মসাৎ করছে। এবং আমি বিভিন্নস্থান হতে ৫ লাখ টাকা হাওলাদ নিলে সে উক্ত ৫ লাখ টাকাও আত্মসাৎ করেছে। সেই টাকা ফেরত চাইলে সে উল্টো হুমকী প্রদান করে বলছে আমার নামে ব্যাংকের যে চেক রয়েছে তা কৌশলে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানী করছে।
ছেলের হয়রানী থেকে বাচঁতে চাইলে সে বলছে যে সাড়ে ৪ শতাংশের উপর আমার বাড়িটি রয়েছে সেটা তার নামে লিখে দিতে। আমার ছেলের এরুপ অত্যাচার থেকে বাচঁতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চাইলে তারাও সেটা কর্নপাত করছেনা। ছেলের এ ধরনের অত্যাচার থেকে বাচঁতে আমার মেয়ে বৃষ্টি আক্তারও ইতিপুর্বে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলো। কিন্তু কোন বিচার পাইনি। বরং বিগত সময়ে থানায় অভিযোগের পর আমাদের উপর বিবাদীদের অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
সম্পত্তির কারনে ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা মাতা চন্দ্রাবান বলেন, একটু সম্পত্তির জন্য ছেলে ও ছেলের বউ’র হাতে বৃদ্ধা বয়সে এত মারধর খেতে হবে সেটা কারোর কাছে বলা যায় না বাবা। আমার ছেলে জিয়া ২দিন আগেও আমাকে ঘুষি মেরে নাক দিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছে এবং আমার মাথায় কি পরিমান আঘাত করেছে তা বলতে পারবোনা। ছেলের হাত থেকে আমাকে বাচাঁতে এসে আমার দুই মেয়েকেও মারধর করে জিয়া।
অভিযোগের বিষয়টি তদন্তভার দেয়া হয়েছে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবদুর রউফ এর কাছে।
বিষয়টি সুষ্ঠভাবে তদন্তের জন্য ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের আশু হস্তক্ষেপ চায় বৃদ্ধা মাতা চন্দ্রাবান।