দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উস্কানি মূলক শ্লোগানকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গাড়ি ভাঙচুর ও অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া হাট সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন মামলা বা কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন, মহিলা লীগ নেত্রী শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে বাছির উদ্দিন, আবু সাঈদের ছেলে মোমেন, সুরুজ মুন্সির ছেলে আলী বান্দার নাম জানা গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কেন্দুয়া হাট সংলগ্ন এলাকায় হাসমত আলীর বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল কলি ও তাঁর লোকজনের উপর হামলা করে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের ভাই সফিকুল ইসলাম সফিক ও তার লোকজন। খবর ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আবির হোসেন জানান, কাঞ্চন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল কলির সাথে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের লোকজনের দীর্ঘদিনের বিরোধ। পিঠার দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে কলির লোকজন উস্কানি মূলক শ্লোগান দেন। ফেরার পথে রফিকুল ইসলামের ভাই সফিকুল ইসলাম সফিকের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা হয়। খবর পেয়ে আমরা মেয়রের বাসার নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘হামলার শিকার হয়ে ফেরার পথে গোলাম রসূল কলির লোকজন পাশের অন্য একটি রাস্তায় মেয়রের মাঝু ভাই সাইফুল মসজিদে অবস্থান কালে তাঁর গাড়ি ভাঙ্গচুর করেছে। সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে যাওয়ার পথে বাজারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার অফিস ভাঙ্গচুর করে যায়।’
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, হামলার ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি, তাই মামলা গ্রহণ করা হয়নি। আসামীও গ্রেফতার নেই। সকলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে রয়েছে। ফিরলে হয়তো অভিযোগ দিতে পারে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।