দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি শীতল চন্দ্র দে। দূর্নীতির বরপুত্র হিসেবে এমপির স্বাক্ষর জাল করে জেলখেটে ছিলেন। নারায়নগঞ্জ গার্লস স্কুলের সেই দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ শীতল চন্দ্র দে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর অবসরে গেলেও তিনি এখনো পদ আগলে রেখে নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছেন। বর্তমানে ২ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জ ( আমলাপাড়া) গার্লস স্কুলের কার্যক্রম। ফলে দেখা দিয়েছে স্কুলে বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং। এর মূলে রয়েছে গর্ভানিং বডির সভাপতি হামিদুর রহমান ও জেলা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা।
সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় স্কুলের গর্ভানিং বডি ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কে ম্যানেজ করে তিনি অফিস করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একটি সুত্র হতে জানা যায়,২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর অবসরে চলে যান শীতল চন্দ্র দে। নিয়ম অনুযায়ী লিখিত ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিনের নিকট দায়িত্ব ভার অর্পন করে যাবেন।
যেমনটি করা হয়েছে বক্তাবলীর কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ক্ষেত্রে। কিন্তু দূর্নীতিবাজ শীতল চন্দ্র দে লিখিত ভাবে দায়িত্ব ভার অর্পন করলেও এক্সটেনশনের নাম করে গর্ভানিং বডির সভাপতি হামিদুর রহমান সহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল থেকে অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে অর্থনৈতিক দেনদেন সহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অপর দিকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে শীতল চন্দ্র দে ও নিলুফা ইয়াসমিন এক সাথে দায়িত্ব করছেন যা বিধিনিষেধের পরিপন্থী। বৈধ হিসেবে নিলুফা ইয়াসমিন থাকার কথা।
গর্ভানিং বডির সভাপতি হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,গর্ভানিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক্সটেনশনে তাকে রাখার জন্য বোর্ডে লিখিত পত্র দেয়া হয়েছে। এখন বোর্ড রাখবে কি রাখবেনা তাদের ব্যাপার।যখন অনুমতি আসবে তখন দায়িত্ব পালন করবে, এখন তো অবৈধ।
সহকারী প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,তাকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি একাডেমিক দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান,এক প্রতিষ্ঠানে ২ জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকতে পারেনা। শীতল চন্দ্র দে সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় রয়েছে। এতে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিবাবক মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু তালেব বলেন,সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন কে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি সেটি পালন করবেন। শীতল চন্দ্র দে যদি ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব পালন করে সেটি নিলুফার ব্যর্থতা। তবে শীতল চন্দ্র দে যদি শারিরীক ভাবে সক্ষম থাকেন তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বা বোর্ডের অনুমতিক্রমে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তার আগে নয়।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমকে বলেন,শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী এক্সটেনশনে থাকতে পারবেন। এজন্য আমরা শিক্ষা বোর্ডে দরখাস্ত পাঠিয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এক পদে ২ জন দায়িত্ব পালন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,সহকারী প্রধান শিক্ষক কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারপরও বিস্তারিত জেনে আমি আপনাকে জানাতে পারবো।