বন্দর প্রতিনিধি:
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ধামঘড় ইউনিয়নের কামতাল এলাকায় এইচ বি আর ব্রিকস’ নামে দুইটি অবৈধ ইটভাটা ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে। আশপাশের জমি থেকে মাটি কেটে ওই ভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ ইটভাটার কোন কাগজপত্র না থাকায় ভাটার মালিক ধামঘড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: মাসুম আহম্মেদকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও অবৈধ এই ইটভাটা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। তারপরও এই অবৈধ ভাটায় ইট তৈরির কার্যক্রম চলছে।
ভাটার মালিক মাসুম আহম্মেদ বলছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ডিসি ও এসপিকে জানিয়েই চালানো হচ্ছে এই ভাটা গুলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে কামতাল এলাকায় প্রায় ৫০ একর ফসলি জমিতে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়। ইটভাটার কারণে আশপাশের জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ভাটার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং ভাটা ভেঙ্গে দেন। কিন্তু চলতি বছরও ভাটায় পুরোদমে ইট তৈরি হচ্ছে।
২ জানুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, ইটভাটার পাশে ফসলি জমি। এসব জমিতে চাষ করা হয়েছে শরিষা, আলু, মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন ফসল। খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির ওপরের অংশের মাটি। ইটভাটার দখলে চলে গেছে কামতাল এলাকার ফসলি জমির বেশিঅংশ। ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে এলাকা। যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এলাকার একাধিক কৃষক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ইটভাটার ধুলা আর ধোঁয়ায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই ইটভাটার জন্য আমরাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই এটি বন্ধ হোক। কিন্তু ভাটার মালিক প্রভাবশালী তার লাঠিয়াল বাহিনির কাছে আমরা অসহায়। আমরা কিছু বললে আমাদের এলাকায় থাকা কষ্ঠ হয়ে যাবে। মালিকপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা সাংবাদিক আপনারা এমন কিছু কইরেন না যার কারনে আমাদের এলাকা ছাড়া হতে হয়।
ইটভাটার মালিক ধামঘড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: মাসুম আহম্মেদ বলেন, আমার ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তর, ডিসি ও এসপিকে জানিয়েই চালাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, এই ইটভাটার বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্বপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।