দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকায় সম্রাট কনস্ট্রাকশন ফার্মে গত মঙ্গলবার ১৭ই জানুয়ারি গভীর রাতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় সম্রাট কনস্ট্রাকশন ফার্মের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম শনিবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ৭জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৭ তারিখ ২১/১/২৩ইং।
মামলার আসামীরা হলেন, মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে মো: বিল্লাল হোসেন (৩৫), মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (৪০), ওহাব আলীর ছেলে নয়ন (২৬), মৃত মো:আলী পোকার ছেলে মো:কাসেম ওরফে পোকা কাসেম (৪২), মৃত ওহাব আলীর ছেলে মো: সেলিম (৩২), মো:মনির হোসেনের ছেলে মো:শ্যামল (২৮) ও মৃত তারু মিয়ার ছেলে মো:দৌলত (৩৮)। আসামিরা সকলে পুরান সৈয়দপুর, সৈয়দপুর শান্তিনগর ও গোগনগরের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সম্রাট কনস্ট্রাকশন ফার্ম থেকে আসামীরা দীর্ঘ দিন যাবত ১০ লাক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু ফার্মের ব্যবস্থাপক মো:সাইফুল ইসলাম চাঁদা দিকে অস্বিকার করায় গত ১৭ জানুয়ারি আসামিরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফার্মে হামলা চলিয়ে ব্যপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফার্মের ব্যবস্থাপক মো:সাইফুল ইসলাম ছুটে গেলে তার কাছে পুনরায় চাঁদা দাবি করে আসামিরা।
এসময় আবারো চাঁদা দিতে অস্বিকার করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপরে হামলা চালায়। এসময় সাইফুলের আত্মচিৎকারে সহকারী ম্যানেজার মেরাজ এগিয়ে আসলে তার উপরেও উপর হামলা চালায়। পরে তাদের দুজনার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে অাসলে অাসামিরা পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাবার সময় অাসামিরা নগদ তিন লাখ টাকাসহ প্রায় ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের ব্রেজলাইট লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এরপর অাহত সাইফুল ও মেরাজকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাইফুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনায় চর সৈয়দপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২নং আসামি মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (৪০), ও ৭নং আসামি মৃত তারু মিয়ার ছেলে মো:দৌলত (৩৮)কে গ্রেফতার করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।