দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রাতের আঁধারে কৃষকদের ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রমজানের নেতৃত্বে স্থানীয় ২০/২৫ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট প্রায় ৩-৪ বিঘা ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে ইটভাটায় চড়া দামে বিক্রি করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আমগাঁও এলাকায় কৃষকদের ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে পুকুরের সমান কেটে ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করে যাচ্ছে। তাদের এ মাটি কাটায় যাতে কেউ বাধা না দেয় সেজন্য মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বাহিনী মহড়া দিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি জমির মাটি এতটাই গভীর করে কেটে নিয়ে যায় যে কেউ দেখলে পুকুর না বলে উপায় থাকবেনা। তাদের মতে প্রতিটি জমি ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে কেটে নিচ্ছে মাটি সন্ত্রাসীরা। ফলে পাশের জমির মাটি স্বভাবতই ওই গর্তে পড়ে যায় এবং তা বিনা টাকায় ও বিনা অনুমতিতে নিয়ে যায় তারা। ফলে অনেক জমির মালিকদের বাধ্য হয়েই মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।
ফসলি জমি রক্ষায় স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে গিয়েও কোন সুফল পায়নি। বর্তমানে ফসলি জমি পরিণত হচ্ছে ডোবা ও পুকুরে। ফলে সর্বশান্ত হচ্ছে কৃষকরা। কোন কৃষক মাটি সন্ত্রাসীদের কাছে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করতে অস্বীকার করলে তারা রাতের আধারে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যায়।
জমির মাকিকগণ রমজান মেম্বারের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার সাধারণ জনগণ তার কর্মকান্ডের নিন্দা জানান।
এ বিষয়ে রমজান মেম্বারের জানান, রাজনীতি করলে পোলাপান পালতে হয়, আমাদের এলাকায় তেমন কাজকর্ম নেই। তাই আমরা মাটি বিক্রি করছি। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল সকালেই সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।