দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা প্রতিটি পাড়ামহল্লায় মাদকসহ কিশোর অপরাধীরা দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। মাদক বিক্রি পাশাপাশি নেশায় জড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে চুরি, ছিনতাই, যৌন হয়রানি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
এমনকি অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ধ কিংবা অন্য কিশোর অপরাধীর সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যার মত জঘ্যনত অপরাধ থেকেও পিছপা হচ্ছে না এই কিশোর অপরাধীরা। এরা মাদক সেবন করার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এই কিশোর অপরাধীরা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী এবং এলাকার ত্রাস। এমনকি উঠতি বয়সের কিশোর অপরাধীরা নেশার টাকা যোগার করতে ভাড়াটে হিসাবে মানুষ হত্যা কিংবা নির্যাতনের মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সেহাচর তক্কারমাঠ, লালখাঁ, ইয়াদ আলী মসজিদ সংলগ্ন শাহজাহান রোলিং মিলসসহ চন্দ্রাবাড়ী এলাকা রেল ষ্টেশন, উকিলবাড়ী মোড়, পিলকুনী পুলপার,আলীগঞ্জ রেল লাইন, কুতুবপুরের নূরবাগ কুসুম বাগ, চিতাশাল, নয়ামাটি, বউ বাজার,নন্দালালপুর রেল লাইন,
শাহিবাজার,মাসদাইর বাজার,,গুদারাঘাট,ইসদাইর রেললাইন,মাসদাইর ঘোষেরবাগ,পশ্চিম মাসদাইর বেকারীর মোড়সহ আশপাশ এলাকা, এই কিশোর অপরাধীদের ছত্রছায়া দিয়ে রাখছে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষকতাকেও দায়ী করছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, অবস্থা এখন এমন জায়গায় চলে গেছে যে, কিশোর অপরাধী নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলছেন, আগামী পজন্মকে অপরাধমুক্ত রাখতে হলে কিশোর গ্যাংয়ের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। তা না হলে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সমাজ ও পরিবারের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কিশোর অপরাধীদের থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
সম্প্রতি ইসদাইর রেললাইন এলাকায় মাদকের স্পট নিয়ে ২/৩টি হত্যাকোন্ডেরও ঘটনা ঘটেছে যার সর্ম্পকে সকলেই অবগত। ইসদাইরের মামুন হত্যাকান্ডে নামকাওয়াস্তে ২/৩জন আসামীকে গ্রেফতার করলেও মামলা মুল আসামীসহ সকল অপকর্মের মহানায়ক মাদক স¤্রাজ্ঞী সীমাসহ তার দোসরদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি ফতুল্লা থানা পুলিশ। ঠিক তেমনীভাবে পুশ্চিম মাসদাইর ঘোষেরবাগ,বেকারীর মোড়,মাসদাইর বাজারসহ আশপাশ এলাকার কিশোরগ্যাংরা সজাগ থাকলে ঘুমন্ত রয়েছে থানা পুলিশ। সেই সুযোগে মাঝে মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মোহড়া দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়াচ্ছে উক্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোরগ্যাং’র সদস্যরা।
সচেতন মহলের দাবী আগামী প্রজন্মকে অপরাধমুক্ত রাখতে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আগে সচেতন হতে হবে তারা সচেতন না হলে কোন দিন ও কিশোর অপরাধী সমাজ থেকে মুক্ত হবেনা। তারা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে দলের মিটিং মিছিলে গিয়ে অমুক ভাই তমুক ভাই বলে এলাকায় অভ্যন্তরীণ দ্ব›দ্ধ কিংবা অন্য কিশোর অপরাধীর সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করেই ঘটাচ্ছে হত্যার মত জঘ্যনতম ভয়াবহ ঘটনা।