দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জহিরুল ইসলাম(৪০) নামের এক ফার্মেসী কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে জহিরুলের স্বজনরা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ করেন।
বুধবার সকালে সোনারগাঁয়ের চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত নতুন সেবা হাসপাতালে এঘটনা ঘটে। জহিরুলের স্বজনদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে হাসপাতাল থেকে জহিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।
জহিরুল ওই হাসপাতালের ঔষধের ফার্মেসিতে দীর্ঘদিন ধরে স্টাফ হিসেবে কাজ করত। সে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
জহিরুলের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম বাবু জানান, প্রতিদিনের মতো তার ভাই জহিরুল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে রাতের খাবার শেষে নতুন সেবা হাসপাতালে তার কাজে যোগ দেয়। গতকাল বুধবার সকালে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও সে বাড়ি ফিরেনি। পরে হাসপাতল থেকে ফোনে জানানো হয় জহিরুল মারা গেছে।
পরে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসে জহিরুলের মরদেহের বাম পায়ে এবং হাতে একাধিক ইনজেকশন পুশ করার চিহৃ দেখতে পান। এছাড়া পায়ে রশি জাতীয় কিছু দিয়ে বাঁধার চিহ্ন পাওয়া গেছে। সবকিছু দেখে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ডই মনে করছেন পরিবার।
হাসপাতালের মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় জহিরুল ডিউটি করে রাতে হাসপাতালে তার শয়ন কক্ষে শুয়ে পড়েন। সকালে তাকে ডাকতে গেলে কোন সারা শব্দ না পেয়ে ভেতরে গিয়ে দেখেন সে নিথর অবস্থায় পরে রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করা হয় পরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় সে মারা গেছে। পরে কর্তৃপক্ষ তার স্বজনদের খবর দেয়।
এব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি(তদন্ত) আহসানউল্লাহ জানান,এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে হসপাতালের মালিক মনিরুল ইসলাম, নাইট শিফট ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, ডাক্তার নাজমুল আলম হাসান, ওয়ার্ড বয় মিন্টু মিয়া, ডে শিফট ম্যানেজার আক্তারুজ্জামানকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রির্পোট হাতে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনাস্থল থেকে সিসি টিভির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এগুলো দেখে মূল ঘটনা বের করা সম্ভব হবে।