দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ।
মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাতা রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন এবং প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, আ’লীগ নেতা বাবু ও রফিকুল ইসলাম নান্নুর স্ত্রী বিউটি বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম গত ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে জনৈক মোঃ শরিফ হোসেন, পিতা মোঃ সামছুল হক, সাং- পিরোজপুর, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ বাদী হয়ে আমার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উক্ত আনিত অভিযোগের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
যাহা আমার দলের ভাবমূর্তি এবং আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত, আপনারা সকলেই আমাকে চিনেন এবং জানেন, আমি আপনাদের এলাকারই সন্তান। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনপ্র্রাণিত হয়ে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। ২০০৪ সালে আমি সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করি নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে আমি সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
সেই সময়ে বিএনপি জামাত জোট সরকারের রোষানলে পড়ে হামলা মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছি। সম্প্রতি হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হক এর রয়েল রিসোর্ট কান্ডের একটি মামলার বাদীও আমি, তাই বিভিন্ন মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে সাবেক চরমেনিখালীও হালে হাবিবপুর মৌজায়, এস.এ ৯ ও ১১ নং এবং আর.এস ১১৮ ও ৬নং খতিয়ানে এস.এ-৯৭, ৯৮, ৯৯ ও ১০০ আর.এস ৭৯ ও ৮০ দাগে ৮শতাংশ ভূমি আমার সহধর্মিনী মোসাঃ বিউটি আক্তার গং, পিতাঃ মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- হাবিবপুর পৈত্রিক এবং ক্রয় সূত্রে মালিক দখলকার বটে, উক্ত জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৪ জানুয়ারি তারিখে একটি পঞ্চায়েত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত বৈঠকের ফয়সালা না মানিয়া অভিযোগকারি মোঃ শরিফ হোসেন বিভিন্ন কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে।
উক্ত শালিসে আমি একজন শালিশকারক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম মাত্র। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, জায়গাটি নিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালত নারায়ণগঞ্জে ১২৫/২০২৩ একটি পিটিশন মামলা চলমান, এবং একটি দেওয়ানী মামলাও চলমান রহিয়াছে যাহার বাদী আমার স্ত্রী বিউটি বেগম।
তিনি বলেন, সামাজিক বিচার শালিশ কার্যে গিয়ে এক জন স্বামী হিসেবে স্ত্রীর ন্যায্য অধিকারের বিষয় কথা বলায় যদি চাঁদাবাজীর অভিযোগ হয় তাহলে নিরিহ জনগণ কোথায় গিয়ে প্রকৃত বিচার পাবে। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।