#যারা রাবার ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করে নেতা হতে চায় তাদেরকে পতিহত করতে হবে: সেন্টু
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার
দেলোয়ার হোসেনের ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মাচর্) বিকেল ৪ টায় চাষাড়া বালুর সংলগ্ন ফানক্লাবে এই আয়োজন করা হয়।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেনর সভাপতিত্বে ও সদর থানা বিএনপির সদস্যসচিব আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এই মিলাদ ও দোয়ায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, যুগ্ম- আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, এম এইচ মামুন, সদস্য মনোয়চর হোসেন শোখন, সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক দিদার খন্দকার, পারভেজ মল্লিক,
বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক সুলতান উদ্দিন ভূইয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নেছার উদ্দিন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহীদ মেম্বার, সদস্য ফরিদ হোসেন, হাবিব মেম্বার, আনোয়ার হোসেন, আলমগীর হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার সাহ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পুর্বে উপস্থিত নেতাকর্মীরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন।
এসময় মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, খন্দকার দেলোয়ার সাহেব ছিলো দলের দু:সময়ে একজন নেতা। তিনি দলের জন্য যে আবদান রেখে গেছেন তা বলে কখনই শেষ করা যাবে না। তার মত নেতা এই সময়ে খুবই প্রোয়োজন ছিলো। মহান রাবুল আলামিনের কাছে প্রাথর্ণা করি তাকে যেন জান্নাত নসিব করেন।
এসময়ে তিনি আরও বলেন, আমি নাকি ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাত করে চলি। তাহলে আপনারাই হিসেব মিলান তারা কয়টা মামলা খেয়েছে আর আমি কয়টা মামলার শিকার হয়েছি। যারা ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাত করে চলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। আর আমার বিরুদ্ধে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাত করে অর্থবানিজ্যের অভিযোগ নাই। আর তাদের বিরুদ্ধ বিপুল অর্থ আনার অভিযোগ আছে।
ঐই দুই শয়তান কি বলে সেটা দেখে আমার লাভ নেই। আমরা জিয়ার সৈনিক দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে নেমেছি। সেটা আদায় না করে ঘরে ফিরবো না। আমরা মহাসচিবের সাথে দেখা করেছি তিনি আমাদের রাজপথে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর বলেছেন আপনাদের বিষয় আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করছি, অচিরেই সেটার ফল আপনারা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে সব সিনিয়র নেতারা আছে তাদের নিয়ে কাজ করছি। আর ওরা সহযোগী সংগঠনের নেতাদের উপর ভর করে কর্মসূচি পালন করছে, তাও নেতাকর্মী খোজে পায় না। আমি নেতাকর্মীদের জায়গা দিতে পারি না।
এসময়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম- আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, যারা রাবার ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করে নেতা হতে চায় আর বানাতে চায় তাদেরকে পতিহত করতে হবে। এটা তাদের ব্যবসায় পরিনত হয়েছে যেটা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অচিরেই এর ফল তারা পাবে আপনারা শুধু অপেক্ষা করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম- আহবায়ক হাজ্বী নুরু উদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু, শহীদুল ইসলাম রিপন, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম- আহবায়ক সরকার আলম, সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, কাউছার আহম্মেদ, আবুল কালাম আজাদ, জুলহাস হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা আবুল হোসেন সরদার, রাশেদ আহম্মেদ টিটু, জাহাঙ্গীর মাদবর, আব্দুর রহমান, এ্যাড. শহীদ সারোয়ার,
বন্দর উপজেলার বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিল্লাল, বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম- আহ্বায়ক সাইদুর রহমান, ফারুক চৌধুরী, বিএনপি নেতা রাইছুল ইসলাম বাদল, স্বপন মেম্বার, মাহাবুব ভূইয়া, পনির ভূইয়া, শহীদ হাসান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।