31 C
Nārāyanganj
সোমবার, মে ২৯, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে:আবহাওয়া অফিস

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১১ মে)  সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১২ মে, শুক্রবার সকালে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।

এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ ১৪ মে, রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে চট্টগ্রামের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও পেছনের অংশ সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সময়ে উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থল ভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টি দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, ও মহেশখালী উপজেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এই ঘূর্ণিঝড়টি রোহিঙ্গাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের ওপর দিয়ে অতিক্রম করলে টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। রোহিঙ্গাদের জন্য বৃষ্টি, বন্যা থেকে শুরু করে পাহাড় ধসের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x