দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আবজাল হত্যাকান্ডের মূলহোতা ও শীর্ষ কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাজু প্রধানকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ২টায় মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ি থানার আমতলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাজু প্রধান ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার প্রধান বাড়ির রিয়াজ প্রধানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ভিকটিম আবজাল প্রধান একজন সিমেন্ট ব্যবসায়ী। ভিকটিম আবজাল প্রধান এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ এপ্রিল ভিকটিম আবজাল প্রধান প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে দেওভোগ মাদ্রাসা মার্কেট সংলগ্ন হাসেমবাগ যাওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার অন্যান্য সঙ্গীয় ১৫-১৬ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল
ভিকটিম আবজালকে পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে এবং এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিম আবজালকে ধারালো রামদা দিয়ে মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করে এবং অন্যান্য সঙ্গীয় ১৫-১৬ জন মিলে ভিকটিমকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত ও অঙ্গহানী করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম আবজালকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল
হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় আসামীরা কৌশলে আত্মগোপন করে পলাতক থাকে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং আসামী রাজু প্রধানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বলে স্বীকার করে।
র্যাব আরও জানায়, আসামী রাজু প্রধানের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২টি হত্যা মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা, ৩টি ডাকাতি মামলা, ১০টি মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মোট ২৩টি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে ফতুল্লা থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।