দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নব-গঠিত কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১লা মে) বিকেল ৪ টায় বন্দর থানাধীন চুনাভূড়া মাদ্রাসা কমিউনিটি সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের সঞ্চালনায় এই পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু,
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু,বিএনপি নেতা কাউন্সিলর সুলতান,
বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, বন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর বিএনপির সদস্য শহীদুল ইসলাম রিপন, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারুক হোসেন, সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদ মেম্বার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাফী, সাধারণ সম্পাদক হাবিব মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ, বিএনপি নেতা পনির হোসেন, হাফিজুর রহমান, নেছার উদ্দিন, বাবুল মিয়া, হুমায়ুন কবির বুলবুল, জিয়া উদ্দিন জিয়া, আব্দুল মতিন ভাষানী, আমজাদ মেম্বার, সফি উদ্দিন সফি, আনোয়ার হোসেন, সফি উল্লাহ, সেলিম, ফারুক চৌধুরী, জানআনতুল ফেরদাউস রাজীব, শহীদ হাসান, জাহাঙ্গীর হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। আজকে যারা পদ পদবি পাননি তারা কেউ কষ্ট নিবেন না। যারা পদ পদবি পান নাই তারা সবাই মুকুল। এই মন মানষিকতা নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের পদ পদবি দিতে পারছি না। আর অনেকেই পদ পদবি দেয়ার জন্য নেতা খোজে পাচ্ছেন না। আবার তারা বলে আমরা নাকি নাম বিক্রি করে চলি। আমার পরিবারের সদস্যরা বহু বছর যাবৎ বন্দর বাসীর সেবা করে যাচ্ছে। আমার চাচা মরহুম জালাল হাজী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও এমপি ছিলেন, তার ছেলে আমার বড় ভাই এ্যাড. আবুল কালাম তিন বারের এমপি ছিলেন, আমি বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলাম, আমার ভাতিজা এখন কাউন্সিলর হয়ে আপনাদের সেবা করছে। আমাদের কারো নাম বিক্রি করতে হয় না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। তাদের কোন লজ্জা নাই । তারা কথায় কথায় মিথ্যা বলে উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে। আবারো দেশে রাতের আধারে ভোটচুরি করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। কিন্তু আর কোন সুযোগ দেয়া হবে না। এবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আজকে যারা কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েছেন আর যারা পাননি তারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করবেন। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিভেদ থাকতে পারে কিন্ত কারো সাথে ব্যক্তিগত কোন দন্ধ নাই।
আজ আমাদের নেত্রী কারাগারে বন্দি। ভারপপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসতে পারছে না। তাই আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতন আন্দোলনে অংশগ্রহন করে নেত্রীকে মুক্ত করি। সেই সাথে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।