দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, এদেশের মানুষ এখন আর আওয়ামীলীগকে ভয় পায় না। তাই হুশিয়ার করে দিচ্ছি যদি ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কেউ বাধা দিতে আসে তাহলে এর জবাব দেয়া হবে।
শনিবার (২৭ মে) বিকেল ৪ টায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিলøাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের সঞ্চালনায় প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, হাজী ফারুক হোসেন,
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির আহবায়ক আওলাদ হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, সরকার আলম, পারভেজ মলিøক, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক হান্নান সরকার, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ফারুক চৌধুরী, বন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোলøা, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাশেম, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,
মহানগর বিএনপি নেতা মোরসালিন, মিজানুর রহমান আরিফ, আক্তার হোসেন, নেছার উদ্দিন, হুমায়ুন কবির মোলøা, হাবিব মেম্বার, আনছার আলী সহ অন্যান নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল আরও বলেন, যারা আজকে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে তারা আবার আসবে। নারায়ণগঞ্জে জালাল হাজী পরিবার ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচন করলে সেটা বিএনপি নেতাদের কাছে গ্রহন যোগ্য হবে না। কারন এই পরিবারের মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপি এখনও শক্তিশালী। আর যারা আমাদের ও দলের দু:সময়ে পাশে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।
মহানগর বিএনপির কমিটির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, যাকে আহবায়ক দেওয়া হয়েছে ওতো একটা বাটপার দলের সাথে বৈঈমানী করে ক্ষমতাশীনদের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নিয়েছে। ওরা কর্মী সমর্থক ধরে রাখতে পারেনি আর পারবেও না। আর আমরা ছোট পরিসরে প্রস্তুতি মূলক সভার আয়োজন করেছি এখন সেখানে নেতাকর্মীদের বসার জায়গা দিতে পারছি না। আবার বলে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির অবসান ঘটেছে।
এই কথা যদি তারেক রহমান জানে তাহলে অবশ্যই ওর বিচার হবে। কারন শঞদি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারপরে দায়িত্ব পালন করেছেন তার স্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার পরে দায়িত্ব পালন করবেন তারুন্যের অহংকার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ঠিক একই ভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আমার চাচা মরহুম জালাল হাজী যিনি মহানগর বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করেছিলেন। তারপরে তার ছেলে সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম করছেন তার সাথে আমরাও আছি। ভবিষ্যত্বে আবুল কাউছার আশাও করবে।
আমরা বিএনপি করতে গিয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে লালন করে নিজেদের সম্পদ নষ্ট করেছি, এখনও করছি ভবিষ্যত্বে প্রয়োজন হলে করবো। আমার দাদা, চাচা, বড় ভাই, আমি এখন আমার ভাতিজা জনগনের সেবার জন্য প্রতিনিধিত্ব করছি ভবিষ্যত্বেও করবো। আর এখন অনেকেই রাজনীতি করে টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, আর আমরা পৌত্তিক সম্পদ নষ্ট করে জনগনের সেবা করছি। তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য এইখানেই।
এসময়ে আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের বক্তব্যের প্রতিবাদে তিনি বলেন, ও যে বক্তব্য দিয়েছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এর জবাব জাহাঙ্গীর পাবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমি মরহুম জালাল হাজী সাহেবের হাত ধরে রাজনীতি শিখেছি, এখন তার ছেলে সাবেক ৩ বারের সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম এর সাথে রাজনীতি করছি। ভবিষ্যত্বে তার ভাই মুকুল ও তার ছেলে আবুল কাউছারের সাথে রাজনীতি করবো। কারন এই পরিবারটি খেটে খাওয়া মানুষের পÿে কথা বলে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা আমিনুর ইসলাম মিঠু, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, এ্যাড. মো¯Íাক আহম্মেদ, জুলাহাস হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, শহীদ মেম্বার, মো: সাফী, হাবিব মেম্বার, স্বপন মাহমুদ, সাইদুর রহমান,সেলিম, আলী আকবর, জান্নাতুল ফেরদৌস রাজীব, আলতাব হোসেন ইব্রাহীম, আব্দুল মতিন ভাষানী, মাসুদুর রহমান মাসুদ, বাদলঢালী সগ বিভিন্ন থানা, ইউনিয় ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।