দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সরকার পতন আন্দোলনে ঢাকার পার্শ্ববতী জেলা নারায়ণগঞ্জ বিগত দিনে বেশ প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হলেও, এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের মান রক্ষায় দিলেন ব্যর্থতার পরিচয়।
এই কর্মসূচিকে ঘিরে জেলার লক্ষাধিক নেতাদের সমাগমের আশায় ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। কিন্তু সেখানে ছোট শহীদ মিনারটিও নেতাকর্মীদের দিয়ে পরিপূর্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির দায়িত্বরত কর্তাবাবুরা। যা আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য ব্যর্থতার আগাম বার্তা।
এদিকে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির অভিযোগসহ ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধারাবাহিকতার সহিত সারা দেশে কর্মসূচির ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১৯ মে) কেন্দ্রীয় ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
কিন্তু আসন্ন সরকার পতন আন্দোলনকে সামনে রেখে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপস্থিতিতে চাষাড়া চত্ত্বর পরিপূর্ন হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারই পরিপূর্ন হয়নি নেতা কর্মীদের সমাগমে।
অথচ নারায়ণগঞ্জ জেলার আওতাধীন, সদর, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ, রুপগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানা এবং উপজেলা গুলোর অধিনস্থ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেটা বাস্তবে রুপ দিতে পারেননি জেলা ও মহানগর বিএনপি।
এই অবস্থা দেখে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও দু:খ প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্যেই সেটার বর্হি:প্রকাশ ঘটতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হলেও সেটা হয়েছে মহানগর বিএনপির আওতাধীন এলাকাতে। যেখানে জেলার চেয়ে মহানগরের নেতাকর্মীদের উপচে পরা ভীর হওয়ার কথা থাকলেও। জেলা বিএনপির কাধে ভড় করে কৌশলে নিজেদের বাচিয়ে নিয়েছেন মহানগরের দুই নেতা।
এদিকে, এই কর্মসূচিকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অনেক রথি মহারথিদের উপস্থিতি ও আসন দখল করে নিলেও তাদের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো না বললেই চলে।
এবিষয় বিএনপির তৃণমূল নেতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বিভাজনের মহানায়ক নজরুল ইসলাম আজাদের কর্মী সমর্থক ছিলো না তেমন চোখে পরার মত। সেই তুলনায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দীপু ভূইয়া তার অনেক কর্মী সমর্থক নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। তবে সেটা নজরুল ইসলাম আজাদের চেয়ে বেশি হলেও প্রশংসা নেয়ার মত হয়নি।
তাছাড়া সমাবেশ স্থলে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যে নেতাকর্মীদের উপচেয় পরা ভীর হওয়ার কথা থাকলেও নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন দিয়েছেন নেতৃত্বে ব্যর্থতার পরিচয়। তবে জেলা বিএনপি যতটুকু কর্মীসমর্থনের পারফরমেন্স দেখিয়েছেন। সেটা ছিটে ফোটাও দেখাতে পারেননি মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
তারা আরও বলেন, এই কর্মূসূচিতে যে কর্মী সমর্থকদের অংশগ্রহন দেখা গিয়েছে এরচেয়ে বেশি নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটাতে পারে মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপির একটি বড় অংশের সাথে সাখাওয়াত ও টিপুর বিভাজনের কারনে সংগঠনটি সার্বিক দিক দিয়ে দিচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়। এই দুই নেতার কারনে সাংগঠনিক দিক দিয়ে শক্তিশালী সংগঠন মহানগর বিএনপি গুটি কয়েক ওয়ানম্যান নেতা নিয়ে দুর্বল কর্মসূচি পালন করে আসছে।
ঠিক একই ভাবে জেলা বিএনপির ক্ষেত্রেও ঘটছে তবে সেটার তুলনায় মহানগরের বিভক্তি অনেকটাই বেশি।
তবে সব দিক বিবেচনা ও বিএনপি নেতাদের মন্তব্যই পরিষ্কার কেন্দ্রীয় নেতাদের মানরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। যা আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলনেও এর প্রভাব পরবে। এটা আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য ব্যর্থতার আগাম বার্তা।