দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পর থেকেই বেশ বেকায়দায় সংগঠনটির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর পরই মহানগর বিএনপির সিনিয়র ১৫ জন নেতা এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বকে বয়কট করে আলাদা ভাবে দলীয় কর্মসূচি গুলো পালন করে আসছে সফলতার সহিত।
অপর দিকে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহযোগী সংগঠনের উপর ভর করে দলীয় কর্মসূচি পালন করলেও সেখানে দেখাতে পরছেন না নিজেদের সাংগঠনিক দÿতাকে। অবশেষে জেলা বিএনপি ও জেলা যুবদলকে সাথে নিয়েও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পরেছেন বেশ বিপাকে। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তÿয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
এদিকে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে গিয়ে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু জুনিয়র নেতাদের দিয়ে বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনা করেও সফলতার মুখ দেখছেন না। কারন তাদের পিছনে রাজনীতি করতে অনেকটাই অনিহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সিনিয়র নেতাদের।
অপর দিকে, এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্ব বয়কট করা মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের শত শত নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে রাজপথ দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও সিনিয়ররা তাদের অবস্থান সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষনা করতে গিয়ে পড়েছেন বেশ বিপাকে। কমিটিতে পদ পদবির জন্য নেতাকর্মীদের উপচেয়ে পরা ভীরের কারনে কাকে কোন পদে রাখবে সেটা হিবেস করতে গিয়ে বেশ হিমশীম খাচ্ছেন তারা।
একদিকে সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে কমিটি ঘোষনা করতে গিয়ে যখন হিমশীম খাচ্ছেন। অপরদিকে কমিটি ঘোষনা করতে গিয়ে কোন নেতাকর্মী খুজে না পেয়ে জুনিয়রদের দিয়ে নাম মাত্র কমিটিও সাজাঁতে পারছেন না এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করতে গিয়ে রাজপথে মামলা হামলার শিকার হয়ে জেলজুলুম সহ্য করেছি, যা এখনও চলমান আছে। আমরা দেশ ও দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন করছি।
সেই আন্দোলনকে ÿমতাশীনদের এজেন্ডা বা¯Íবায়নে কাজে লাগাতে দিবো না। যারা দলের সাথে বৈঈমানী করে ÿমতাশীনদের সাথে হাত মিলিয়ে আর্থিক পায়দা লুটে আর যাই হউক তাদের পিছনে জিয়ার সৈনিকরা কখনই হাটতে পারে না।
তারা আরও বলেন, এ্যাড. সাখাওয়াত একজন চিহ্নিত সরকারের দালাল সেটার প্রমান দিয়েছে তার সদস্য সচিব এ্যাড. টিপু ২ কোটি টাকার দেনদরবার প্রকাশ করে। আর যাই হউক সেই বৈঈমানের সাথে প্রকৃত বিএনপির নেতা কর্মীরা রাজনীতি করবে না। দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম এবং থাকবো। এটার জন্য কোন পদ পদবির দরকার নাই।
আমরা বিএনপি করি এটা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে। আমরা জিয়ার সৈনিক এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়।
যারা বর্তমান মহানগর বিএনপির কমিটিতে আছে তারা কে কয়টা মামলার শিকার হয়েছে। আর আমাদের নামে কয়টা মামলা হয়েছে সেটা হিসেব কশলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।