দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে দিন দিন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে কিশোর গ্যাং,মাদক,সন্ত্রাসে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে একে পর এক মারামারি, হত্যা, গুম, খুনের মতও ঘটনা। সব মিলিয়ে কুতুবপুর এখন আতংকের আরেক নাম মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ।
গত ২ বছরে কিশোর গ্যাং বাহিনী মাদক ও আধিপত্য বি¯Íার কে কেন্দ্র করে ঘটেছে চার চারটির মত খুনের ঘটনা,আহত সংখ্যা ও প্রায় ২ থেকে ৩ শতাধিকের মত। কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, জিডি,অভিযোগের পাহাড় রয়েছে ফতুলøা মডেল থানায়।
দীর্ঘ দিনে এই কিশোর গ্যাং নির্মিলে জেলা পুলিশ ও ফতুলøা থানা পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। আশাপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় ফতুলøা মডেল থানার পুলিশে অভিযান হলেও কুতুবপুরে হয়নি তেমন কোন অভিযান।
গত দুই বছর পূর্বে পাগলা জেলে পাড়া এলাকায় মিঠু বাহিনীর হাতে নিহত হন কুতুবপুরের বৌবাজার এলাকার মিরু বাহিনী সদস্য ভিপি রাজিব(২৬)পাগলা রেললাইন পাশে কয়েক বছর পূর্বে গিয়ার মানিক বাহিনীর হাতে নিহত হয় । নয়ামাটি মুসলিম পাড়া এলাকার রাকিব (২০) নয়ামাটি লাবনী জুস ফ্যাক্টরীর সামনে বৈরাগী বাড়ি এলাকার সোহেল বাহিনী হাতে খুন হয় মাসুদ (২৩) এবং সর্বশেষ গতকাল ১৪ই জুন রসুলপুর নিউ মডেল স্কুলের সামনে জয়নাল মিয়ার গ্যারেজে জয়নাল ও ওয়াসিমের হাতে নিহত হয় সোহান (২০)।
প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডে সাথে, কিশোর গ্যাং এর আধিপত্য, মাদক, সংক্রান্ত বিষয় হয়েছে। এভাবে আর কত মায়ের বুক খালি হলে শেষ হবে এই মরন বাজি খেলা সেই প্রশ্ন ভাসছে সাধারন মানুষের মাঝে।
কুতুবপুরের রয়েছে বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। এদের নিয়ন্ত্রণ করে সরকার দলীয় কিছু নেতা, শেল্টার দাতাদের মূলে রয়েছেন ফতুলøা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম ইসহাক তার নিয়ন্ত্রণে নয়ামাটি ভাবির বাজার এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি বিশাল গ্যাং বাহিনী।
কুতুবপুরের বউ বাজার এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরু, নয়ামাটি মুসলিমপাড়া এলাকায় কুতুবপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার। অচিরে এদের বিরুদ্ধে ও কিশোর গ্যাং বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে হতে পারে আরো অনেক মায়ের বুক খালি। তাই জেলা পুলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।