দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপির অন্তর্গত বন্দর ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন,বর্তমান অবৈধ সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে গনতন্ত্রকে দাবিয়ে রাখতে চায়। তারই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমান সরকার ছোট ছোট লেখা দেখার জন্য এক প্রকার গøাস ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দূর্নীতি খোজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
পরবর্তীতে জিয়া চেরিটেবল ট্রাষ্ট নামে একটি সংস্থা রয়েছে। যা সাধারন দরিদ্র মানুষের মধ্যে বন্টন করা হয় সেই ট্রাষ্টের টাকা। অথচ সেই ২ কোটি টাকা যা বর্তমানে ৮ কোটি হয়েছে সেই টাকার জন্য একটি মিথ্যা মামলায় শেখ হাসিনার প্রতÿ মদদে বিচারক বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিতে বাধ্য হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের ষড়যন্ত্রের কারনে আজ আমার নেত্রী বেগম জিয়া সেই মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আজ আমরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে একটি কথা বলতে চাই শেখ হাসিনার বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। শেখ হাসিনা কয়েকদিন আগে বলেছিল আমেরিকা যেই দেশকে চায় সেই দেশের সরকার পরিবর্তন করতে পারে। এখন শেখ হাসিনা আপনি বুঝেন আমেরিকা সরকার আপনার বিরোদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। এটা কিসের আলামত আপনি বুঝেন না। এটা হচ্ছে আপনার পতনের আলামত।
আপনার দিন শেষ শেখ হাসিনা। আপনার বিদায় ঘন্টা সময়ের অপেÿা মাত্র। বাংলার মানুষকে অনেক নির্যাতন করেছেন। হত্যা করেছেন। গুম করেছেন অসংখ্য। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরোদ্ধে ৭০ হাজার মামলা করেছেন। ৭২লÿ নেতাকর্মীর বিরোদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা করেও জনগনের মূখ বন্ধ করতে পারবেন না। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই। আমরা আপনাদের শত্রæ না।
সরকারের অন্যায় আদেশ আপনারা পালন করবেন না। ২০১৪ সনের ২৭শে এপ্রিল বর্তমান সরকারের বিশাল নেতা বন্দরের শান্তি নগরে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা কর্নেল তারেক,মেজর রানা এবং মেজর আরিফের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবী এড. চন্দন সরকারসহ ৭জনকে বুকের মধ্যে ইটের ব¯Íা দিয়ে বেধে নদীতে ফেলে হত্যা করেছিল।
কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা সেদিন লাশ পানির তল থেকে ভেসে উঠিয়ে জনগনের সামনে এনে দিয়েছিল। এতবড় অপরাধ করে কখনো পার পায় নাই। আজ তাদের গলায় রশি ঝুলছে। অতএব অপরাধ করলে প্রশাসনও ছাড় পাবে না। অতএব আপনারা আ’লীগের পÿও নয় বিএনপির পÿও নয়। আপনারা জনগনের পÿে কাজ করুন। জনগন আজ জেগে উঠেছে। বিএনপির সভায় মানুষ আর মানুষ। শেখ হাসিনা আপনাকে ১০দফা মানতেই হবে। নইলে জনগনই আপনাকে টেনে হিচড়ে ÿামতাচ্যুত করবে।
সম্মেলন শেষে রাজু আহম্মেদকে সভাপতি ও মাসুদ রানাকে সাধারণ সম্পাদক, বাবুল হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আঃ সালামকে,আঃ মতিনকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সালাউদ্দিন রাজীবকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
শুক্রবার ( ২ মে ) বিকেল চারটায় বন্দর ইউনিয়নের তিনগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আঃ মতিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য মাসুদ রানা’র সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এ সময় বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহবায়ককমিটির সদস্য ডা.মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাহমুদুর রহমান, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বন্দর থানা বিএনপি’র আহবায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা,মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র মহিউদ্দিন শিশির, হারুন অর রশিদ লিটন, শাহাদুলøাহ মুকুল, শাহিন আহমেদ, তারা মিয়া, জাহিদ খন্দকার, শাহিন শাহ্ মিঠু, সদস্য সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর থানা যুগ্ম আহবায়ক নাছির উলøাহ্ টিপু, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু প্রমুখ।