দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বেশ আয়েশি মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। কমিটি ঘোষণা করার পরই কমিটিতে থাকা সিনিয়র নেতারা আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বকে বয়কটের ধাক্কা সামলাতে বেশ হিমশীম খেতে হয়েছে তাদের।
তবে সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে মহানগর বিএনপির আওতাধীন নাসিক ১৭টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়ন কমিটি দিয়ে অনেকটাই সফলতার ধারপ্রান্তের কিনারায় তারা।
যদিও এর কৃতিত্বর দাবিদার এখন সবাই লুফে নিচ্ছেন, কিন্তু এই সফলতার পিছনের কারিগড় একজন বর্তমান সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তার কিছু সাংগঠনিক ম্যাজিকেল ক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারনেই এখনও রাজপথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মহানগর বিএনপির ব্যানার নিয়ে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এমনটাই দাবি করছেন দলটির তৃণমূল।
তারা আরও বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে, শ্রমিক দল এর পরে বেশ কয়েক বছর রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে পরবর্তীতে আবার মূলদলে প্রবেশ। ছাত্রদলের রাজনীতিতে তার হাত ধরে আসা অনেক নেতাই এখন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্বের কাতারে। যারা এখন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য মাঠ দাপিয়ে
বেড়াচ্ছেন সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে।
তারা আরও বলেন, রাজনীতিতে যার সাথে ছিলো সাপ বেজির সর্ম্পক সেই এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক দিয়ে যখন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সদস্য সচিব করেন এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। তখন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মাঠে শোরগল ছিলো বেশি দিন টিকবে না এই কমিটি। কিন্তু সবাই এই তথ্যকে মিথ্যে প্রমান করে দিয়ে প্রথম বারের মত মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিট কমিটিতে সাজিয়ে দেখালেন এ্যাড. টিপু।
আর এই কমিটি এখন পর্যন্ত চলমান হওয়ার পিছনে এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বড় অবদান। তার কারনেই এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান শাইনিং পাওয়ারের ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছেন বলেও দাবি করেন দলটির তৃণমূল।
তবে এটা অস্বিকার করার কোন অবকাশ নেই এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে সিনিয়র নেতাদের সহযোগীতা ছাড়াই বর্তমান মহানগর বিএনপি নুতন করে নিজেদের আলাদা বলয় সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যেটা এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়।
তারা আরও বলেন, আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের দলের সাথে বৈঈমানী করার বিষয়টি এখন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক প্রতিটি মহলেই প্রতিষ্ঠিত। আর তার এই গোপন ভান্ডারের ডিমটিও সকলের সামনে ভেঙ্গে ছিলেন বর্তমান সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এর ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান অনেকটাই পিছিয়ে পরে ছিলেন। আর সেখান থেকে নিজের ইমেজ রাজনৈতিক মহলে পুনরায় যাহির করা ছিলো অসম্ভব একটি বিষয়। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার কারিগড় হিসেবে বেশ দাপটিয় কায়দায় এগিয়েছেন এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এখন এ্যাড. টিপুর সাংগঠনিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনকে এনে দিয়েছেন সম্মান। তবে কোটি টাকার বানিজ্যের সেই পকেট ভারির কলঙ্ক কিন্তু এখনও সাখাওয়াতের পিছু ছাড়েনি।
যেমনটা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে ক্ষমতাশীনদের কাছে লাখ টাকার বিনিময়ে প্যানেল ছেড়ে দেয়ার কলঙ্ক এখনও মুছতে পারেনি মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. সরকার হুমায়ুন কবির।
তবে এতোটুকু বলা যেতে পারে যেই হাতে ক্ষয় হয়েছিলো এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সেই হাত ধরেই আবার জয়ের পথে হাটছেন তিনি। এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর হাত ধরেই এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনের ক্ষয় আবার তার হাত ধরেই পাচ্ছেন জয়ের হাতছানি।